বাংলাদেশ ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা পাবে : সিপিডি
জাফর আহমদ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সন্তোষজনক। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগের হারও এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের পথে। তবে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হবে ২০২৪ সালে। এরপর শুরু হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নতুন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা। তবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইনে আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ তথ্য জানায়। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ‘দ্য লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিস রিপোর্ট- ২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে- ‘উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সুযোগ-সুবিধা পাবে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশটি।’
সিপিডির তথ্য মতে, গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৩ কোটি ডলার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে বাংলাদেশে। দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ এফডিআই। ২০১৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার এফডিআই এসেছে ভারতে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ১৫৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এফডিআই এসেছিল। ২০১৫ সালে সেটি ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার হয়। ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির বিচারে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের পাশাপাশি ভারতকেও পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
সিপিডি উল্লেখ করে, কোনো দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বা উন্নয়ন কাজে দাতা সংস্থাগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে অনুদান কিংবা ঋণ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার এবং গ্রেস পিরিয়ড ভিন্ন ভিন্ন থাকে। স্বল্পোন্নত দেশ অনুদান বা ঋণ বেশি পেয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৫ সালের এলডিসি রিপোর্টেও এমন সম্ভাবনার কথা বলেছিল আঙ্কটাড। এর আগে জুনে আঙ্কটাডের বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০১৬-এ বলা হয়, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ২০১৫ সালে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী পালনের পরের দিনই এ সুসংবাদটি দিয়েছে জাতিসংঘের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা ইউএনসিটিএডি (আঙ্কটাড)। সম্পাদনা: কিরণ সেখ