শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
আবু সাইদ: নিজেদের মধ্যকার সব মতপার্থক্য ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিলেন বিশিষ্টজনরা। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর শিক্ষায় ইসলামি ঐক্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তরা এ আহ্বান জানান।
ঢাকায় ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে উপস্থিত হয়েছি যখন ইসলামি বিশ্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের মুখাপেক্ষী। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যকার ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বাধাগুলোকে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। এই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহকে আরও বেশি সচেতন করার মাধ্যমে মুসলমানদেরকে একক ইসলামি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি বলেন, আমরা নবী সা.-এর সেই শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছি। নিজেরা হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছি। অনৈক্যের কারণে মুসলমানরা আজ সারা বিশ্বে নির্যাতিত হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে আমাদের রাসুলের দেখিয়ে যাওয়া পথ অনুসরণের আর কোনো বিকল্প নেই।
ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান সৈয়দ মুসা হুসাইনি বলেন, আল্লাহর সব নবী ও রাসুলের দাওয়াতের প্রধান বিষয় ছিল তাওহিদ বা একত্ববাদ এবং ঐক্য ও সহমর্মিতা। যিনি ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী তিনিও তার নবুওয়াতের ২৩ বছরে ইসলামি উম্মাহর মধ্যকার সব মতবিরোধ দূর করে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন এবং পবিত্র কুরআনের শিক্ষায় তাঁদেরকে প্রশিক্ষিত করেছেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আল-মুস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার প্রতিনিধি ড. আমীর আনসারী বলেন, রাসুল (সা.) যখন নবুওয়াত লাভ করেন তখন আরব উপদ্বীপে জাহেলিয়াতের সংস্কতি ছিল। জাতিগত পক্ষপাত, গোঁড়ামি ও সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে সমাজকে পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছিল। অথচ (রাসুল সা.) যার জন্মের আশির্বাদে পৃথিবীর রূপ বদলে যায়, সকল শেরক একত্ববাদে পরিণত হয়।
মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খা ও বনানী ডিওএইচএস মসজিদের খতিব মাওলানা ফাহিমুর রহমান। অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে হামদ ও নাত পরিবেশন করা হয়। সূত্র: রাশিদ রিয়াজ