নাস্তিকতা প্রতিরোধে শিশুদের টিকা দিচ্ছে সৌদি আরব
পরাগ মাঝি: সৌদি সরকার তাদের শিশুদের মধ্যে ভবিষ্যতে যেন পাশ্চাত্য ভাবধারা, নাস্তিক্য, উদারতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মতো ব্যাপারগুলো কখনো বেড়ে না উঠে তার জন্য একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দেশটির আদর্শগত ভাবধারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্যই মূলত এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, শিশুদের মধ্যে কখনো যেন আইএসআইএস এবং আল কায়েদার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব গড়ে না উঠে তারও প্রচেষ্টা রয়েছে তাদের কার্যক্রমে।
সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের পরিকল্পনার কথা মক্কা নিউজ পেপারে প্রকাশ করে। এই পত্রিকার বরাত দিয়ে ‘মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই টুইটারে ‘উদারনীতি ভয়ঙ্কর’ এই বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক এবং আলোচনার ঝর বয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে স্কুলবালক এবং বালিকারা যেন পথভ্রষ্টদের আচরণ রপ্ত করতে না পারে সেজন্য সৌদি সরকার ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষায় তাদের অভ্যস্ত করার প্রয়াস চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য আরও একটি শিক্ষামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সৌদি কতৃপক্ষ।
তবে সৌদি সমালোচকরা দেশটির নতুন শিক্ষা পদ্ধতিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যও করছেন। নাদিন আল-বুদির নামে এক সমালোচক ও কলামিস্ট তারা বিতর্কটিতে প্রশ্ন তুলেছেন- কখনো কি শুনেছেন একজন উদার লোক কখনো খুন করার চিন্তা করেছে? কিংবা কোনো ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি কি কখনো নিজেকে বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা ভাবে?
কেউ কেউ এ ব্যাপারটির সমালোচনা করে বলছেন, আইএসএস এবং আল কায়েদার মতো হুমকিকে ঠেকাতে উদার না হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হাস্যকর। সৌদি আরবের সংবিধান সরকারি আইন এবং কার্যক্রমের জন্য সুন্নি ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়। সংবিধানে আছে সৌদি আরব সম্পূর্ণ সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র, যার ধর্ম ইসলাম। আল্লাহ প্রেরিত কুরআনই এই রাষ্ট্রের প্রকৃত শিক্ষা। এসব দিক বিবেচনা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ স্কুলের মধ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন করে তাদের আদর্শিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছে। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট