এল আর বাদল: সব পরাজয়ে দুঃখবোধ হয় না, অনেক সময় বীর মনে হয় নিজেদের। গতকাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে লড়াইটা হলো তাতে টাইগারদের বীরই বলা যায়। এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মাত্র ২ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জুনিয়র সেনারা। এই পরাজয়ে বাংলাদেশকে ব্যাক ফুটে ফেলতে পারেনি পাকিস্তান। তাদের কাছে হারলেও রান রেটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজের দেশ। দলকে জেতাতে না পারলেও ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাট হাতে ৮০ রান করার পর বল হাতেও দুই উইকেট নেন এই উদীয়মান ক্রিকেটার। পাকিস্তানের জয়টা এসেছে মাত্র এক বল আর দুই উইকেট হাতে রেখে। বাংলাদেশের দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে পাকিস্তান। এর আগে গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফিফের ৮০ রানে ভর করে পাকিস্তান যুবাদের সামনে ২৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিন পুরো ৫০ ওভারের মাত্র ১ বল খেলতে পারেনি জুনিয়র টাইগাররা। ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারায় সাইফ হাসানের দল। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করেছিল। মহিদুল ইসলাম আঁকন ও অধিনায়ক সাইফ মিলে তুলে নেন ৩১ রান। আকন ফিরলেও আফিফের সঙ্গে আরও ৪৩ রান যোগ করেন সাইফ। এরপরই খেই হারায় জুনিয়র টাইগাররা। দলীয় ৭৪ রানে সাইফ ও ৮৬ রানে হাবিবুরের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ঠিক ১০০ রানে ফিরেন রায়ান রাফসানও। এরপর অবশ্য বাংলাদেশের ইনিংসটা সামলান বিপিএল তারকা আফিফ। পঞ্চম উইকেটে রাকিবের সঙ্গে ৭৭ রান যোগ করেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।
দলীয় ১৭৭ রানে ৯৪ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ করে আউট হন আফিফ। অন্যপ্রান্তে রাকিব অবশ্য টিকে ছিলেন তবে সতীর্থরা যাওয়া আসার মিছিলে যোগ দিলে ২৩০ রানেই শেষ হয় টাইগার যুবাদের ইনিংস। ৫৩ বলে ৪২ রান করেন রাকিব।
শাহেন শাহ আফ্রিদি, মুহম্মাদ হাসনাইন, উমর খান ও নাসির নওয়াজ নেন দুটি করে উইকেট।