ইসমাঈল হুসাইন ইমু: গতি ফিরেছে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি ল্যাবে গত ৬ বছরে ৭৬ হাজার ৪৮৪ মামলার আলামত সংগ্রহ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার আলামত সংগ্রহ করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
মহাখালীর সিআইডির প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষকের কার্যালয়ের প্রবীণ রাসায়নিক কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সাহা বলেন, এর আগে লোকবলের অভাবে বিভিন্ন ঘটনার আলামত সংগ্রহ করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া যেতো না। বর্তমানে লোকবল বাড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত বা ভিসেরা পরীক্ষার বাইরেও বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে ফরেনসিক তদন্তের। হাতের লেখা-ছাপ, ব্যালেস্টিক, ফুট প্রিন্টসহ ১১টি শাখা নিয়ে, কেবল সিআইডিরই আছে, পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক ল্যাব। মৃত্যুর পর আঘাতের ধরন কিংবা মারা যাবার কারণ নির্ণয় করে মেডিকেল ফরেনসিক। আর ডিজিটাল ফরেনসিক খুঁজে বের করে টেকনিক্যাল সব উপাত্ত।
এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি যতো এগোচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে পাল্টেছে অপরাধের ধরনও। মোবাইলে হুমকি, ইন্টারনেটে নগ্ন ছবি ফাঁস, ইমেইল হ্যাক এমন নানা অপরাধের খবর প্রায়শই আসে গণমাধ্যমে। এসব নিয়েই কাজ ডিজিটাল ফরেনসিকের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সিআইডি কাজ করে বেশকটি ফরেনসিক শাখা নিয়ে। এরমধ্যে রয়েছে, ব্যালেস্টিক, ফিংগার প্রিন্ট, ফুট প্রিন্ট, ফটোগ্রাফি, মোবাইল ও কম্পিউটার ফরেনসিক, হ্যান্ড রাইটিং, মাইক্রো এনালাইসিস, জাল নোট ও ডকুমেন্ট, ডিএনএ ও ক্যামিকেল ল্যাব। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারাই কাজ করেন এসব ফরেনসিক শাখায়। হাতেগোনা দুয়েকটি ট্রেনিংই তাদের ভরসা। মহাখালীতে অবস্থিত সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগার ভরসা সব আইনৃঙ্খলা বাহিনীর। সেখানেই হয় ভিসেরা পরীক্ষা।
২০০৪ এ প্রতিষ্ঠা হলেও ২০০৭ থেকে ফরেনসিক নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব। হাতের ছাপ, জাল নোট, ডিএনএন স্যাম্পল নেয়া এসব কাজ করার সামর্থ্য আছে তাদের। রাসায়নিক পরীক্ষায় এ মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা বাহিনী তারা। ৬০ হাজার অপরাধীর হাতের ছাপ নিয়ে শুরু করা ডাটাবেজ তাদের ফরেনসিকের অন্যতম প্রধান অর্জন। এছাড়া দেশে একমাত্র র্যাবের কাছেই আছে আইসিপিএমএস নামের রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্রটি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম