নিজিস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগের প্লাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। তাই তারা যেখানে-সেখানে অর্থ খরচ করছে। তাদের জন্য বিনিয়োগের একটি সুনির্দিষ্ট প্লাটফর্ম করা উচিৎ। গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম. এ. সবুর, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য উল্লেখ করে ড. মশিউর রহমান বলেন, বৈদেশিক আয়ের ৮ শতাংশ আসে প্রবাসীদের মাধ্যমে। এই অর্থের বেশিরভাগই তারা ব্যবহার করেন ঋণ পরিশোধ, জমি ক্রয় এবং বিয়ের জন্য উপঢৌকন ক্রয়ে। আর মাত্র ২ শতাংশ বিনিয়োগে আসে। এটা বাড়া উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে প্রবাসীদের জন্য বন্ড ছাড়তে পারে।
প্রবাসীদের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসীদের পেছনে সরকারের তেমন কোনো ব্যয় নেই। তারা নিজেরাই নিজেদের উন্নয়ন করছে। সরকারকে তাদের প্রতি নজর দিতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে সত্যিকারের প্রবাসীবান্ধব করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সিএসআর (সামাজিক দায়বদ্ধতা) খাতে অর্থ ব্যয় করাকে যুক্তিহীন মন্তব্য করে তিনি বলেন, যার দক্ষতা উচ্চহারে নয়। তাকেই বলা হচ্ছে, তোমার লভ্যাংশ দাও। একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকের মতো এই ব্যাংককে সব দায়িত্বই পালন করতে হচ্ছে। যদিও এটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক নয়।
ছায়া সংসদে স্পিকার হিসেবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে অভিবাসীদের অবদান’ শীর্ষক বিতর্কে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করতে এই ছায়া সংসদটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। যুক্তিনির্ভর সমাজ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই ছায়া পার্লামেন্টে সরকারি দল হিসাবে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলোজি এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকসহ জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের ট্রফি, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।