কিরণ সেখ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে নোংরা ভাষার শিক্ষা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল রোববার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে গণতন্ত্র চর্চা করার পরামর্শ দিয়েছেন। উনার কাছে আমার প্রশ্ন, গণতন্ত্র চর্চা মানে কি ব্যালট পেপার ছিনতাই করা, লাশেও উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়া?
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি জাতীয় নেতার কন্যা এবং আপনার স্বামীও শিক্ষিত মানুষ। আপনার মুখ থেকে যখন এমন নোংরা কথা শুনি তখন প্রশ্ন জাগে, আপনার কাছ থেকে জাতি কি শিখবে। আপনার এ কথায় প্রতিবাদ জানাতে চাই না, কারণ আপনার এ ধরনের বক্তব্য শুনেই ঘৃণা হয়। বিএনপি দেশকে বিক্রি করে দিয়েছিল- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ভারতকে মুক্ত আকাশ ও ট্রানজিট দেওয়া কি দেশ বিক্রি নয়? এছাড়া তিনি বিএনপিকে জনগণের উপর আস্থা রাখতে বলেছেন, আমার প্রশ্ন, আপনি কি জনগণের উপর আস্থা রেখেছেন? বিএনপির মুখপাত্র আশা প্রকাশ করে বলেন, আসন্ন নাসিক নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জবাসী ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে সাখাওয়াত হোসেন খানকে বিজয়ী করবেন। যদি জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এক বিশাল নীরব বিপ্লব ঘটবে।
মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে- এমন পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে একসময়ে ছাত্রলীগ করা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কী না, সেই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট প্রদানের নিশ্চয়তার জন্য আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।