নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ এবং তিনটি তদন্তের ভিত্তিতে যে সুপারিশটা যুক্তিযুক্ত, তা হচ্ছে যে, মনুষ্যসৃষ্ট বিষয়টি নাশকতমূলক কিনা তা আইনের আওতায় এনে তদন্ত করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার জন্য যে শাস্তির বিধান থাকে সেই শাস্তি প্রদান করতে হবে। মন্ত্রী রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি হয়নি, কিন্তু এর চেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন আর আসতে পারে না। তিনি শুধু সরকার প্রধানই নন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তার জীবননাশের জন্য বহুবার চেষ্টা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে তিনটি কমিটি গঠন করেছিলাম। একটি বিষয় তিনটি তদন্ত রিপোর্টেই এসেছে-সমস্ত ঘটনাটি, নাট ঢিলা হওয়ার ব্যাপারটি মনুষ্যসৃষ্ট। এটা কি ইন্টেনশনাল নাকি আনইন্টেনশনাল, তা তদন্ত কমিটিগুলোর পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে এটা কোনো নাশকতামূলক কাজ কি না- অথবা আনপ্রফেশনাল কাজ কি না, তা নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সামান্যতম নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, উড়োজাহাজে যান্ত্রিক গোলযোগের ঘটানা তদন্তে গঠিত তিনটি কমিটির প্রতিবেদন সমন্বিত করে তা দুই-একদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অথবা তার কার্যালয়ে দেওয়া হবে। সেখানে বসেই সুনির্দিষ্ট করা হবে তাদের নির্দেশ অনুসারে, পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম