প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ বিনিয়োগসংক্রান্ত বৈঠক দেশে ৪ শতাংশ বিনিয়োগ দৃশ্যমান নয়
বিশ্বজিৎ দত্ত: বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) মনে করে দেশে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৪ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু হিসাবে ৪ শতাংশ বিনিয়োগ দৃশ্যমান হচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে বিডা আগামী মার্চের মধ্যেই একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৩৪ শতাংশ বিনিয়োগ প্রয়োজন। বর্তমানে তা ৩০ শতাংশ রয়েছে। এরমধ্যে, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ১৫ শতাংশ, সরকারি ১২ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ ৩ শতাংশ রয়েছে। অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকে নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকল সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর দেশে বিনিয়োগ এসেছিল ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের। এরপরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে বিনিয়োগ এসেছে ৬৪২ মিলিয়ন ডলারের। যা আগের বছরের চেয়ে ৫০ মিলিয়ন বেশি। বিনিয়োগের এই বৃদ্ধি সত্ত্বেও বিডার পরিচালক মনে করেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডায় একটি ওয়াস্টপ সেল খোলা প্রয়োজন। যেখানে একজন বিনিয়োগকারী এসে একসঙ্গে সব কিছু পাবেন। তিনি বিনিয়োগ রেজিস্ট্রেশন পাবেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ট্যাক্স ও জমিসংক্রান্ত সকল বিষয় এই সেন্টার থেকেই সমাধান করা হবে।
বিনিয়োগকারীকে তখন এই মন্ত্রণালয় থেকে ওই মন্ত্রণালয়ে ছুটতে হবে না। দেশে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জমি রেজিস্ট্রেশন করতেই ১ হাজার ২৫৬ দিন সময় ব্যয় হয়। এরপর রয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নিতে সময়। তাতে একজন বিনিয়োগকারীকে একটি কোম্পানি খুলতে প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়। তার বিভিন্ন ফাইলে স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় প্রায় দেড় শতাধিক। তিনি বলেন, ২০১০ সালে বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান এখনো বিনিয়োগে আসতে পারেনি। এমন কোম্পানির সংখ্যাও অনেক। বিনিয়োগ শুরুর আগেই একজন বিনিয়োগকারীকে কেন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। এই বিষয়টি বিডা থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জানানো হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিন বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানের ঘটনার পরে দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে এখনি কথা বলব না। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সম্পাদনা: উম্মুল ওয়ারা সুইটি