জানুয়ারিতে নাগরিক সংবর্ধনায় সিক্ত হবেন মান্না, মুখোমুখি হবেন গণমাধ্যমের
রিকু আমির: জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কারামুক্ত নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নাগরিক সংবর্ধনায় সিক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগর (উত্তর) এর আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ কায়সার গতকাল সোমবার দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এটা আমরাই আয়োজন করব। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক ও বাস্তবায়নই বাকি। গত রোববার রাতে কারামুক্তি লাভের পরপরই মান্না ফিরেছেন নিজ বাসভবন গুলশানে। এক সপ্তাহের মতন তিনি বাসায় বিশ্রাম নেবেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে বসবেন বলে নাগরিক ঐক্য সূত্র জানায়। শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, শারীরিক কারণে আপাতত: মান্না সরাসরি গণমাধ্যম তথা প্রয়োজনীয় অনেক কিছু থেকে বিরত থাকছেন। অন্যদিকে, মান্না ফেরার পর থেকে তার বাসায় চঞ্চলতা ফিরে আসতে শুরু করেছে। দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্খীদেও কেউ কেউ সরাসরি মান্নাকে দেখতে, কথা বলতে আসছেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বাইওে বের হন। এরপর নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় শেষে সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামের প্রাইভেট কারে চড়ে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে কারাগার এলাকা ত্যাগ করে রওয়ানা হন নিজ বাসভবনের উদ্দেশ্যে। পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে গত ২৮ নভেম্বর জামিন পান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও সেনা বিদ্রোহে উস্কানির অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় হাইকোর্টেও দেয়া জামিনাদেশ সেইদিন বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি এসকে সিন্হার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আদেশটি দিয়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য একজন ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার ভাইবারে কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়। গুলশান থানায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ওই বছরের ৫ মার্চ সেনা বিদ্রোহে উস্কানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম