পদ্মার পাড়েই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ
আমিনুর রহমান তাজ: পদ্মার পাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিমানবন্দরটিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এ মুহূর্তে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। আগামী ২০১৭ সালে এই সমীক্ষার কাজ শেষ হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, নতুন বিমানবন্দরটির শেষ হতে বেশকিছু সময় লাগবে। একমাস আগে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি’র কাজ শুরু করেছে। তাদের হাতে ১৮ মাস সময় রয়েছে। বিমানমন্ত্রী মেনন আরও বলেছেন, ‘২০১৮ সালে বর্তমানে বিমানবন্দরটি কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে এই নতুন বিমানবন্দরটির প্রয়োজন হবে’।
সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেল এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণে আগ্রহী নয় সরকার। বিমান মন্ত্রণালয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জন্য চারটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ মাদারীপুরের শিবচর চর জানাজাত, ঢাকার দোহারে চরবিলাসপুর, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কেয়াইন ও লতব্দী এলাকা। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে চর জানাজাত স্থানটিকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
ডয়েচে ভেল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ হলে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে। তারপর দ্রুত শেষ করা হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৩৬ কেটি ৭৫ লাখ টাকা। এর আগে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছিল ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ বিমানের সাবেক বোর্ড সদস্য ওয়াহিদুল আলম বলেছেন, ‘নানা কারণেই হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরটিতে সবকিছু ঠিকঠাক করা যাচ্ছে না। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এখন সম্ভব নয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও কঠিন। শাহজালালে একটি রানওয়ে বন্ধ হয়ে গেলে বিমানবন্দরে বিমান উঠানামাই বন্ধ হয়ে পড়ে। সুতরাং দেশে নতুন একটি বিমানবন্দর প্রয়োজন বলে তিনি জানান।’
বর্তমান সরকার নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের এক বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আ ন হ মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘নতুন এ বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে একটি বিমান চলাচলের বড় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। দ্রুততার সঙ্গে এর সফল বাস্তবায়নে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে’।