বন্ধ থাকবে মদের বার ‘থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ’
আনিসুর রহমান তপন: আগামী ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। মদের অপব্যবহার রোধে বন্ধ রাখা হবে সকল মদের বার। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন উদযাপন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, বৈঠক থেকে এ ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সারাদেশের ৬২টি গির্জায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি খৃস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আবুল হোসেন, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহ-১-এর সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মাদকের অপব্যবহার রোধে ৩১ ডিসেম্বর সারাদেশের সকল মদের বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই এদিন সব মদের বার বন্ধ থাকবে।
এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সেদিন সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ করা যাবে না। তবে কেউ যদি ইনডোরে অর্থ্যাৎ বাড়ি কিংবা হোটেলের ভিতরে কোনো অনুষ্ঠান করতে চান সেক্ষেত্রে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট এরিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। জেলা পর্যায়েও যদি কেউ ইনডোরে কোনো অনুষ্ঠান করতে চান সেক্ষেত্রেও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কোনো ধরনের আতশবাজি করা যাবে না।
মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অতি উৎসাহী যুবকরা আইনশৃঙ্খলা মানতে চায় না। এ কারণেই ওই রাতকে ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে সব অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকলে সেটা শেষ করতে হবে। তাছাড়া কূটনৈতিক জোনেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিনের অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন তাদের ধর্মীয় উৎসব। এদিন সারাদেশের ৬২টি গির্জায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মোতায়েন থাকবে পুলিশ। তাছাড়া খৃস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
ঢাকার তিনটি বড় গির্জা মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ে রয়েছে। এসব গির্জায় গির্জার প্রবেশ মুখে আর্চওয়েসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হবে। সেখানে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের তাদের ধর্মীয় উৎসব যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে পালন করতে পারে সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী।