ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে সিআইডির আলোচনা
সুজন কৈরী: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ড. আতিউর রহমানের ধানমন্ডির বাসভবনে পৌঁছায় আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির চার সদস্যদের একটি দল। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত দলের সদস্যরা।
এ বিষয়ে ড. আতিউর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকেই রিজার্ভ চুরির তদন্তের বিষয়ে তিনি সহযোগিতা করে আসছেন। ভবিষ্যতেও করবেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের কি আছে? সিআইডির কর্মকর্তাদের বাসায় যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাসায় তো আসতেই পারে। আলাপ-আলোচনা হতেই পারে। গভর্নরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যেকটি কর্মকর্তার সঙ্গে সিআইডি কথা বলছে। আমি একমাত্র মানুষ যে; আমার যা বলার ছিল তা প্রকাশ্যে বলে চলে এসেছি। তারপরও এটা নিয়ে এতো টানাটানি কেন?
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলমের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আসলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়। রিজার্ভ চুরির মামলার বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতেই সিআইডির তদন্ত দলটি ড. আতিউর রহমানের বাসভবনে গিয়েছিল। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি শাহ আলম।
প্রসঙ্গত, ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করে ফিলিপাইনে অর্থ পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও ২০ মিলিয়ন ডলার চুরি করে পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কায়। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলে ড. আতিউর রহমান। পরে পদত্যাগ করেন তিনি। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ডলার ফেরত পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলারও ফেরত পাওয়া গেছে। বাকি অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি চলতি বছরের মে মাসে প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে তা এখনো প্রকাশ করেনি সরকার। সম্পাদনা: বিশ্বজিৎ দত্ত