কামরুল আহসান: গতকাল (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকটোরাল ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এরইমধ্যে ৩০৬ ভোট পেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের কাছ থেকে। ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে হিলারির ঝুলিতে আছে মাত্র ২৩২টি ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য দরকার ন্যূনতম ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৩৬টি ভোটে, আর হিলারি পিছিয়ে আছেন ৩৮টি ভোটে। তারপরও এ হিসাব পাল্টে যেতে পারে।
শেষ মুহূর্তে যদি ইলেকটররা ট্রাম্পের কাছ থেকে ভোট ফিরিয়ে নেয় তাহলে এখনো জিতে যেতে পারেন হিলারি। তাহলে ট্রাম্প নয়, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন হিলারি ক্লিনটন। সম্ভাবনা কম, তাও এখনো কিছু সম্ভাবনা আছে। পপুলার ভোটে হিলারি এখনো এগিয়ে আছেন প্রায় ২৮ লাখ ভোট। এখনো প্রতি মুহূর্তে ইলেকটোরালদের কাছে ফোন, ফ্যাক্স, মেইল করে অসংখ্য মানুষ জানাচ্ছেন ট্রাম্প যেন কোনোভাবেই প্রেসিডেন্ট না হতে পারেন। তাহলে তিনি সব ছাড়খাড় করে ফেলবেন। বিশেষ করে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকারদের হাত ছিল এবং রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের খুব খাতির এসব তথ্য জানার পর থেকে আমেরিকার জনগণ আরও ভরকে গেছে। তারা এখন প্রাণপণে এই নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, আমেরিকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ইতিহাসের ২২৭ বছরে যা হয়নি, তা কি এবার হবে!
শুধুমাত্র ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচ- সমালোচনার জন্যই অনেকে আশা করছেন হলেও হতে পারে। এরকম সমালোচনা নির্বাচন-পরবর্তী আর কোনো প্রেসিডেন্টকে নিয়েই ইতোমধ্যে হয়নি। এরমধ্যে ৬৭ জন ইলেকটর নির্বাচনের সময় হ্যাকিং-এর তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছেন। তবে এই ৬৭ জনের একজন মাত্র রিপাবলিকান। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের কতজন সরে আসেন হিলারির দিকে! ফক্স নিউজ। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি