কামরুল আহসান: পোল্যান্ডের রাজনৈতিক সংকট তিক্ত আকার ধারণ করেছে। ভিক্ষুব্ধ জনতা সপ্তাহখানেক ধরে জাতীয় সংসদ ভবন ঘেরাও করে রেখেছে। বিদ্রোহী বাহিনীর অভ্যুত্থান চেষ্টা দেশটির গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সংসাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পোল্যান্ড সরকারের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে বিরোধীদল সংসদের নিম্নকক্ষে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। ভিতর থেকে এ প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সংসদের বাইরে। বরফজমাট তাপমাত্রার মধ্যেই বিরোধীদলের হাজার হাজার প্রতিবাদী কর্মী ও সংবাদমাধ্যমের লোকজন সংসদ ভবন ঘেরাও করে রেখেছে। যা প্রায় অভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছে। সমস্তরকম সংসদীয় কার্যক্রম বস্তুত স্থগিত হয়ে পড়লে পুলিশ এসে জোরপূর্বক তাদের সেখান থেকে টেনে সরায়।
পোলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস ব্লাসাজাক বলেছেন যে, ‘আমার মতে, তারা প্রায় ক্ষমতা দখল করে ফেলতে চেয়েছিল।’ প্রধানমন্ত্রী বিয়াটা সিডলো এর জন্য বিরোধীদলের প্রতি কঠোরভাবে নিন্দা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটা একটা চরম আবেগের বহি:প্রকাশ। দেশের জন্য এর কোনো মঙ্গলময় প্রতিফলনই স্থাপন করবে না। বরং, এটা তাদের আরও হতাশা আর অসহযোগিতাই বাড়াবে।
সংসদের ভিতর হঠাৎ আন্দোলনের আগুন প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠার কারণ সরকার কর্তৃক সংসদের ভিতর গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা। ২৭ বছর আগে পোল্যান্ডে গণতন্ত্র পুনর্বহালের পর থেকে সাংবাদিকরা ক্ষমতার প্রায় যথেচ্ছা ব্যবহার করেছে। যে ক্ষমতার জোরে তারা প্রায়ই বিরোধীদলকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে। পোল্যান্ডের অনেক অধিবাসীদের মতে, এটা হচ্ছে পোল্যান্ডের সর্বোৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের উদাহরণ। কিন্তু, দেশটির সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অনেক সময়ই সম্ভব হয় না।
পোল্যান্ডের প্রধান বিরোধীদল সিভিক প্ল্যাটফর্মের নেতা গোজাগোশ সিয়েতেনা অবশ্য সরকারপক্ষকেই দোষ দিয়ে বলেছেন, ‘যারা আইন ভঙ্গ করেছে তাদের অবশ্যই এর উত্তর দিতে হবে।’ সিএনএন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি