কামরুল আহসান: ডেমোক্রেট রিপাবলিকান কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোশেফ কাবিলার দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ১৯ ডিসেম্বর। আগামী এক মাসের মধ্যেই দেশটিতে নির্বাচন দেওয়ার কথা। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এসে তিনি না নাকচ করে দিয়ে উল্টো কথা জানালেন। জোশেফ বলেন, নির্বাচন দিতে বিলম্ব হবে। তার এ কথায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে কঙ্গোর জনগণ। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। তারা দ্রুত তার হাত থেকে মুক্তি চান। বিদ্রোহী জনগণকে থামাতে রাস্তায় নেমেছে প্রায় ১০ হাজার আধা-সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ।
২০০১ সালে পিতা লরেন্ট কাবিলা আততায়ীদের হাতে নিহত হওয়ার ১০ দিন পর জোশেফ কাবিলা ক্ষমতা দখল করেন। গত ১৫ বছর ধরে দেশটিতে তিনি প্রায় একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। এর মধ্যে বহুবারই তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়েছে। কাবিলাই কথা দিয়েছিলেন বিরোধী দলের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তিনি এক অদ্ভুত চুক্তির মাধ্যমে নির্বাচন স্থবির করে রাখতে চান।
ডিআরসি দলের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ‘ওই চুক্তি নিয়ে আমরা খুবই হতাশাগ্রস্ত। সবাই আশা করেছিল এবারের মেয়াদ শেষ হলে ওই চুক্তি ভেঙ্গে দিয়ে কাবিলা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। তিনিও তাই কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু, এখন তার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখা আমাদের আরও হতাশ করে তুলছে।’
উল্লেখ্য, কঙ্গোতে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার রেকর্ড অনেক পুরনো। যে-ই ক্ষমতায় আসে সে-ই আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ লুটপাট করে দেশটিকে তারা বিশ্বের সবচেয়ে গরিব একটি দেশে পরিণত করেছে। এর আগে একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসক মোবোটু সেসে সেক ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত একটানা ৩২ বছর দেশটিকে শাসন করেছেন। তখন তিনি কয়েক বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন। দ্য গার্ডিয়ান। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি