আবির: বাংলাদেশে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত রুশানারা আলী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে কাজ করতে চান তিনি। দুই দেশের ও জাতির মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক এতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। ইউএনবি
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে রুশানারা বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সৃজনশীল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন একটি দেশ এবং কাজ শুরু করার জন্য চমৎকার জায়গা। ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব যেন বজায় থাকে, তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে উন্নয়ন বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে তিনি আগ্রহী বলে জানান রুশানারা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করার ফলে দুই দেশই উপকৃত হচ্ছে, এমনটাই দেখতে চান তিনি। আরো জানান, বাংলাদেশে এটা তার শিক্ষা সফর।
ব্রিটেনের সর্বদলীয় বাণিজ্যদূত কার্যক্রম চালু হয় ২০১২-তে। এর মূল লক্ষ্য যেসব দেশে ব্রিটেনের জন্য বড় বাজার আছে তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ়করণ ও দেশগুলোয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনা।
রুশানারা অবশ্য মনে করেন শুধু বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে ভাবাটা বোকামি। ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সমন্বিতভাবে মাথায় রাখার কথা বলেন তিনিÑ অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক উন্নতি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা।
ঐতিহাসিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য দারুণ সুযোগ দিচ্ছে বলে মনে করেন রুশানারা। বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সরকারের বৃহৎ অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা আশাব্যাঞ্জক। অবকাঠামো বাণিজ্যিক খাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে বিনিয়োগের বাধা অপসারণ করা হলে সবকিছু আরো দক্ষ ও কার্যকরভাবে চলবে।
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক স্বার্থ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য। ২৪০টিরও বেশি ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, ব্যাংকিং, জ্বালানি, অবকাঠামো, উপদেষ্টা ও শিক্ষা খাতে কাজ করছে। তাদের কর্মস্থল প্রধানত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী