শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বীকৃতি পাচ্ছে না নবীর উদ্দিনের পরিবার
সাহাবুদ্দিন সনু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াকু সৈনিক তৎকালীন ইপিআর সদস্য নবীর উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হলেও সার্টিফিকেটে মৃত উল্লেখ করায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে না তার পরিবার। ৪৫ বছর পর শহীদ নবীর উদ্দিনের স্ত্রী মোসা. মাজেদা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ হরিপুর ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে শায়িত তার স্বামীর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই আপে করেন।
মাজেদা বেগম জানান, নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ৫ নং কোলা ইউনিয়নের ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের কিনা মন্ডলের ছেলে নবীর উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইপিআরে নায়েক পদে চাকুরীর সুবাদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যুদ্ধে ১৩ ডিসেম্বর শহীদ হন। পরে তার স্বামীকে শহরের উপকন্ঠ হরিপুর ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে সমাহিত করা হয়। স্বামীর জীবন উৎসর্গের পর তিনি ছেলে নূরুল ইসলাম ও ২ মেয়ে মরিয়ম বেগম এবং শিউলি বেগম খুব ছোট থাকায় এবং অসহায় পরিবার হওয়ায় স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করাটা দূরের কথা, সেসময় পরের বাড়িতে কাজ করে তিনি স্ত্রী সংসার চালাতেন। বড় মেয়ের বিয়ের সুবাদে জামাই মো. কামাল হোসেনের মনে উদ্বেগ হয়, অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পেলেও তার শ্বশুর কেন ভাতা পাচ্ছে না? বিষয়টি বদলগাছি থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জমির উদ্দিনকে বললে তার সহায়তায় কাগজপত্র জোগাড় করে মুক্তিযাদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে গত ১৫/০২/২০১০ সালে ইং তারিখে নবীর উদ্দিনের পরিবার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পান। পরে অনেক দৌড়ঝাঁপ করে ২০১৪ সাল থেকে সাধারণ কোটায় তার স্ত্রী ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিবার্তা, গেজেট ও বিজিবি’র প্রত্যয়নপত্রে নবীর উদ্দিনকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ম ১৪৬২৮৯ নং সনদে নবীর উদ্দিনকে মৃত হিসেবে লেখা হয়েছে। এতে তাঁর পরিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি বা মর্যাদা পাচ্ছেন না। সম্পাদনা : তারেক