দাম বেশি পাওয়ায় আগাম লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন চাষিরা
এম রায়হান চৌধুরী, চকরিয়া (কক্সবাজার) : বিদেশ থেকে আমদানির কারণে একটানা কয়েকবছর লোকসান গোনার মাঝেও চলতি বছর হঠাৎ করে লবণের রেকর্ড পরিমাণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশায় বুক বাধে লবণ চাষিরা। এতে লবণ মৌসুম শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমে পড়েছেন কক্সবাজারের ছয় উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার অন্তত লাধিক চাষি। ধারণা করা হচ্ছে, দাম বৃদ্ধি থাকায় এবার প্রায় ৭০ হাজার একর জমিতে উৎপাদন হবে লবণ। এই অবস্থায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে উপরন্তু বিদেশে রপ্তানী করতে পারবে উৎপাদিত লবণ। তবে এেেত্র সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে আন্তরিক হতে হবে দেশীয় শিল্প রায়।
এদিকে কক্সবাজারে ছয় উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় আগাম লবণ উৎপাদনে চাষিরা মাঠে নামলেও লবণ উৎপাদনের ল্যমাত্রা এখনো ঠিক করেনি বাংলাদেশ ুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক)। অন্যান্য বছর যেখানে চলতি সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে পাওয়া যেতনা সেখানে বর্তমানে লবণ উৎপাদনের জন্য পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে। এতে চাষিরাও আগাম লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমে পড়েছেন।
সরজমিন দেখা গেছে, চলতি লবণ উৎপাদন মৌসুমে কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ পুরোপুরি তৈরির তোড়জোড় চলছে। অনেক স্থানে শুরুই হয়ে গেছে লবণ উৎপাদন। সাধারণত আবহাওয়া লবণ চাষের অনুকূলে থাকলে এবং উৎপাদন মৌসুমে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে চাষিরা দিনরাত কায়িক শ্রম দিয়ে বিসিকের ল্যমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন করে থাকেন। এরইমধ্যে কুতুবদিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। সম্পাদনা : তারেক