নড়াইলে লোহাগড়ায় বাল্যবিয়ের হিড়িক
এস এম জিরু, নড়াইল : প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সর্বত্রই বাল্য বিয়ে সংগঠিত হচ্ছে। জেলার লোহাগড়া উপজেলায় গত তিন মাসে অন্তত ১৩টি বাল্যবিয়ের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে নিকাহ কাজীরা রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে বর ও কনে প এসব বাল্য বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। ৭ম শ্রেণির ছাত্রী থেকে শুরু করে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এই বাল্য বিয়ের তালিকায় রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের নিকট এসব বিয়ে সংগঠিত হওয়ার খবর দেয়া সত্ত্বেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। সর্বশেষ গত ১২ ডিসেম্বর রাতে একটি বাল্য বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউএনও’র রহস্যজনক ভূমিকায় স্থানীয় সচেতন মহল হতাশ ।
জানা গেছে, ওইদিন রাতে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের চিত্র বিশ^াসের মেয়ে এলএসজেএন মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সোনালী স্বর্ণা (১৩)’র সাথে জেলার পানতিতা গ্রামের দেবেন বিশ^াসের ছেলে সাধন বিশ^াস (২৭)’র মধ্যে বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম রেজার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। পরে গণ মাধ্যমকর্মীদের অবহিত করলে তাৎক্ষনিকভাবে বিয়ের আয়োজন পন্ড হয়। পরে গভীর রাতে পাশ্ববর্তী লাহুড়িয়ার কল্যানপুর গ্রামে গিয়ে ওই দু’জনের বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।
শালনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস আলি বলেন, আমরা ইউএনও মহোদয়কে পূর্বেই অবহিত করেছিলাম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইউএনওকে ফোন দিলে বন্ধ পাই। পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবহিত করি। ইউএনও মহোদয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই বাল্য বিয়ে ঘটতে পারত না। এ ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী রাণী মজুমদার বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আসলে আমরা আমাদের সাধ্যমতো বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করি।’ এছাড়া এ প্রসঙ্গে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাউকে পাইনি। পরে স্থানীয় এক মাতবর বিষ্ণু বিশ্বাসের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে এসেছি। সম্পাদনা : তারেক