বড় করদাতা ইউনিটে সমস্যা কমে যেতে পারে রাজস্ব আয়
বিশ্বজিৎ দত্ত: বড় করদাতাদের কর প্রদানের সুবিধার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। কর সংগ্রহের দুটি বড় খাত। ভ্যাট সংগ্রহের জন্য একটি, অন্যটি কর সংগ্রহের। এই দুটি কর অঞ্চল থেকেই রাজস্ব আয়ের ৫০ ভাগ অর্জন হয়। ব্রিটিশ অর্থ সহযোগিতায় (রিরা প্রকল্প) কর অঞ্চল দুটি জাঁকজমকের মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করলেও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তহীনতা ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক না থাকায় দুটি কর অঞ্চলই এখন দুর্বল। বড় করদাতারা অনেকেই আলাদা ইউনিট খুলে অন্যত্র কর দিচ্ছেন। আবার উচ্চ আদালতে মামলা করে আটকে রেখেছেন বড় অংকের টাকা। ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ কমে যাওয়ায় ট্যাক্সও কমে যাবে। ফলে আগামী অর্থবছরে কমে যেতে পারে রাজস্ব।
এলটিইউর চট্টগ্রাম কর অঞ্চল একটি ভাড়া বাসায় শুরু হয়েছিল। এখন এনবিআর আর ভাড়া দিতে পারছে না। কারণ হিসেবে এলটিইউর কমিশনার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম এলটিইউর অর্গানোগ্রামই এখনো ঠিক হয়নি। বারবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে চিঠি লিখা হচ্ছে। তারা বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছে। আগামী মাসে বাড়ি ভাড়া না দিলে চট্টগ্রাম এলটিইউকে পথে বসে কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে ভ্যাট এলটিইউর কমিশনার মতিউর রহমান জানিয়েছেন, শুরুতে যে কয়টি কোম্পানি নিয়ে ভ্যাট এলটিইউ কাজ শুরু করেছিল এখন তা কমে গেছে। কারণ আগে যে কোম্পানিগুলো বড় ছিল তারা এখন নতুন ইউনিট করেছে। স্কয়ার নতুন ইউনিট করেছে, ইউনিলিভার নতুন ইউনিট করেছে এ ধরনের আরও অনেক বড় কোম্পানি তাদের নতুন ইউনিট করেছে। এখন নতুন ইউনিটগুলো অন্য অঞ্চলে চলে গেছে। পুরাতনগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে ব্যাটও কমে গেছে। এসব সমস্যা নিয়েই আগামী ২২ ডিসেম্বর দুই এলটিইউর কমিশনার ও কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান।
দুই কর অঞ্চলের কর কর্মকর্তাদের দাবি, এলটিইউতে কর্মকর্তাদের একাউন্টিংয়ে দক্ষতার জন্য আরও বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এটি না হলে গ্রামীণফোনের মতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর অডিট করা সম্ভব হচ্ছে না। এলটিইউর কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা প্রণোদনার ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের দাবির মধ্যে। এছাড়া ভ্যাট এলটিইউর কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিক দেওয়ার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে জানানো হবে বলে জানা যায়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম