শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সুযোগ চাইলেন আইভী প্রতিশ্রুতি দিলেন সাখাওয়াত
নুরুল আজিজ চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে ব্যস্ত সময় পার করল প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ভোটারদের কাছে আর একটিবার সুযোগ চেয়েছেন আ.লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আইভী। অন্যদিকে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত। প্রচারণার শেষদিন মঙ্গলবার নিজ এলাকা ১৬নং ওয়ার্ড থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। প্রচারণাকালে তিনি সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তিনি তার ‘নৌকা’ প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। এরপর বিরতি দিয়ে বিকাল ৩টা থেকে আবার প্রচারণা শুরু করেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘প্রচারণার আজ শেষ দিন। আর কারও অভিযোগ শোনবো না। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করব না। আমিও চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। ভোটাররা যাতে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে। তাদের জন্য সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে সেটা এখন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ভোটারদের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চাই।’
এছাড়াও তিনি ভোটারদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাকে আরেকটিবার আপনারা সুযোগ দিন। আমি কথা দিচ্ছি আমার পরিকল্পনা মোতাবেক সকল কাজ আমি সমাপ্ত করব।
সেলিনা হায়াৎ আইভীর ১৬নং ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নিজ বাড়ির গেট থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। পরে তিনি ১৬নং ওয়ার্ডের দেওভোগ এলএনরোড, নিহত দিদারুল ইসলাম চঞ্চলদের বাড়ি, দেওভোগ আখড়া মোড়, নতুন পালপাড়া মোড়, কাঠের দোতালা, দেওভোগ পাকারোড বড় মসজিদ, পুরাতন দেওভোগ পাকা রোড, খানকা রোড. জামাল উদ্দিন সড়ক, গার্মেন্টস গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নিজ বাড়িতে এসে গণসংযোগ শেষ করেন।
অপরদিকে, শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার প্রতীক ‘ধানের শীষ’র জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় তিনি ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এদিন তিনি সকাল থেকে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডে সদর থানা বি.কে রোড, জমিদার কাচারী গলি, তোলারাম রোড (তামাকপট্টি এবং কদমতলী), গোপচর ও শহীদ নগর ডিয়ারা এবং ১৯নং ওয়ার্ড বন্দর থানার ইসলামপুর রোড, এমএম ঘোষাল রোড, পিএম রোড, লাচর ও ফরাজী কান্দা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
এ সময় সাখাওয়াত অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আমি শঙ্কায় আমি। নির্বাচনের শুরু থেকেই আমি সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। এ কারণেই লোকজনদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা। আর সরকারও চাচ্ছে না সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হউক। সরকারের অবস্থান ও ভাবমূর্তি সকালেই বুঝা যাবে। তারপরও আমি চাই সুষ্ঠু ভোট হউক। কারণ মানুষ ধানের শীষকে ভোট দিতে পাগল হয়ে গেছে। লোকজন ধানের শীষকেই ভোটে পাশ করাবে। কিন্তু এটা বুঝতে পেরেই সরকার ষড়যন্ত্র করছে।
এ সময় তার সাথে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. আবুল কালাম, সাবেক সংসদ সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. সালাম, কাজী মনিরুজ্জামান ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।