মামলার ফল উল্টো হয়, তাই নীরবে সহ্য করে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: নারী নির্যাতন বা যৌন হয়রানির মামলার ফল উল্টো হয়। বিচার কাজ এত লম্বা সময় ধরে চলে তাতে করে ভিকটিমের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। এর মধ্যে আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে ওই মেয়ের পরিবারকে আরও কিভাবে ঘায়েল করবে তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সামাজিক-আর্থিক ঝুঁকি সামলাতেই কান্ত হয়ে এক সময় সবার চাপে মামলা তুলে নেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয় না। মামলা তুলে ফেলার পর অপরাধী মুহূর্তে পাল্টে ফেলে তার রূপ। তখন পুলিশ বা প্রশাসন আর দায় নিতে চায় না। এভাবে ঘটনার পর ঘটনা ধামাচাপা পড়তে থাকে। উল্টো ভিকটিমের পরিবারের উপর নেমে আসে অন্ধকার।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, বিচারহীনতা এবং মামলার দীর্ঘসূত্রতার ফলে হয়রানির শিকার পরিবারগুলো একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। এভাবে অন্যের ঘটনা দেখে গ্রামের অনেক মানুষ এখন আর মামলা করতে চায় না। কারণ পরিবারের মেয়েটি যখন কোনো হয়রানির শিকার হয় তখন পুরো সমাজ ভেঙে পড়ে তাদের উপর। সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে আসে কেউ কেউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামলার ধীরগতির কারণে পরিস্থিতি উল্টে যেতে থাকে। সাক্ষীরা আর ভয়ে সাক্ষ্য দিতে আপত্তি জানায়। কারণ দেখা যায়, অপরাধীর পক্ষে কুচক্রী মহল অবস্থান নেয়। আবার অপরাধীর পরিবারের বাবা মা এসে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার এবং প্রভাবশালীদের কাছে ধর্ণা দেয় সমঝোতা করিয়ে দিতে। শেষ পর্যন্ত ভিকটিমের পরিবার বাধ্য হয় মামলা তুলতে। এই হয় পরিণতি।