এক বছরে জার্মানিতে পাঁচ সন্ত্রাসী হামলা
মুজতাহিদ ফারুকী: জার্মানিতে গত এক বছরে অন্তত পাঁচটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী এসব সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীসহ বেশকিছু লোক হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে গত সোমবারের সন্ত্রাসী হামলাই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ। কোনো কোনো হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসী গ্রুপ আইএস জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে বার্লিনে ২৩ বছরের পাকিস্তানি নাগরিক নাভেদ একটি লরি নিয়ে একটি শপিং মলে ঢুকে পড়লে ১২ জন মারা যায় ও ৪৮ জন আহত হয়। পোল্যান্ড থেকে একটি বিশাল ট্রাক সে হাইজ্যাক করে এধরনের সন্ত্রাসী হামলা ঘটায়।
এর আগের ঘটনাবলী:
২৭ ফেব্রুয়ারি: গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাফিয়া নামে ১৫ বছরের একটি জার্মান-মরোক্কান মেয়ে হামবুর্গের কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনে একজন পুলিশকে গলায় ছুরিকাঘাত করে। হামলায় পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। মেয়েটি আইএস-এর পক্ষে কাজ করছিলো বলে দাবি করে। তবে আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। পরে অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা মেয়েটিকে আটক করেন।
১৮ জুলাই: এদিন ডুইসবার্গে আফগানিস্তান থেকে আসা ১৭ বছরের এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছুরি ও কুড়াল নিয়ে একটি ট্রেনের যাত্রীদের ওপর চড়াও হয়। তার ছুরিকাঘাতে হংকং থেকে আসা চারজন পর্যটকসহ পাঁচজন আহত হয়। এই হামলাকারীকে আইএস তাদের সৈনিক বলে দাবি করে।
২২ জুলাই: ১৮ বছর বয়সী ডেভিড আলী সনবলি মিইনিখের একটি শপিং মলে গুলি চালিয়ে নয় ব্যক্তিকে হত্যা করে। এক বছর ধরে সে এই হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেয়। আইএস-এর সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ছিলো না।
২৪ জুলাই: আন্সবাকে এক সঙ্গীতানুষ্ঠানে ২৭ বছর বয়সী এক সিরীয় নাগরিক বিস্ফোরকসহ একটি বন্ধনীর (ভেস্ট) বিস্ফোরণ ঘটালে সে নিজে নিহত হয় এবং ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। সে আইএস-এর অনুগত ছিলো এবং আইএস তাকে নিজেদের সৈনিক হিসাবে স্বীকার করে। তার মানসিক সমস্যা ছিলো এবং আত্মহত্যার প্রবণতা ছিলো বলে জানা গেছে।
সূত্র: ডেইলি স্টার ইউকে