কন্যাশিশুর উপর মানসিক চাপ বন্ধ করুন
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: একই বয়সের একটি ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুকে পরিবার থেকেই আলাদা করে দেখা হয়। ১০ বছর হতে না হতেই ছেলে শিশুর জন্য বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যরা এক নিয়ম রাখেন। আর কন্যাশিশুর জন্য বেঁধে দেন নানা রকমের নিয়ম। তখন থেকেই মেয়েটিকে মানসিক চাপের মধ্যে রাখতে শুরু করে।
কন্যাশিশুর উপর এই মানসিক চাপ তার স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে তার ধারণা ছেলে শিশুর থেকে একেবারেই আলাদা হয়। ফলে মানুষ হিসেবে সে নিজেকে বড় করে ভাবতে পারে না। এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি মেধাবী হওয়ার পরও পারিবারিক আর সামাজিক বাধা পেরিয়ে আসা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়।
এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বিলকিস বেগম বলেন, ঠিক যখন একটি শিশুর নিজের মতো করে ভাবার বয়স শুরু হয় ৯/১০/১১ বছর। তখনই সে কন্যা হিসেবে আলাদা হয়ে পড়ে। নতুন ভাবনায় আসে সে শিশু হলেও কন্যাশিশু। একই বয়সের ছেলে শিশুর জন্য যা বাধা নয়, তার জন্য সেটিই বড় বাধা হয়ে সামনে দাঁড়ায়। এতে তারমধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতা তৈরি হয়। বাধা গ্রস্ত হয় তার বিকাশ। অনেক সম্ভাবনা ক্ষেত্র বিশেষে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা বুঝতেও পারি না সেই শিশুটির মধ্যে কি সম্ভাবনা ছিল। তাই শিশুকে ১৮ বছরের আগে লৈঙ্গিক বৈষম্যে না জড়ানোই ভালো। বরং কন্যাশিশুকে ছেলে শিশুর চেয়ে বেশি স্পেস দেওয়া উচিত। তাকে সামাজিক বাধা দূর করতে সাহস, অনুপ্রেরণা দিতে হবে। কোনো ভাবেই সে যে কন্যাশিশু তাকে মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না।