২৬ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত হবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা : মোজাম্মেল হক
মামুন খান: ‘আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা সম্পন্ন করে তাদের হাতে সনদ ও আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা তৈরি করা হচ্ছে। টাকা জাল করা সম্ভব হলেও এ সনদ জাল করা সম্ভব হবে না।’
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজ্ঞ আইনজীবী সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ঢাকা আইনজীবী সমিতি ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী মার্চ থেকে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার কবর একইভাবে সংরক্ষণ করা হবে। যাতে সবাই দেখে বুঝতে পারেন যে এটা একজন মুক্তিযোদ্ধার কবর। অনুরূপভাবে যেসব স্থানে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ও যেসব বদ্ধভূমি রয়েছেÑ সেগুলোও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি এর বিরোধিতাকারীদের তথ্য পাঠ্য বইয়ে লেখা থাকবে। আগামী বিসিএস পরীক্ষায় ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের উপর ১০০ নম্বর থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের নাট-বল্টুু ঢিলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট তিনি যেভাবে বেঁচে গেছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে এবারও সেভাবেই বেঁচে গেছেন। নাট-বল্টু ঢিলা করে যতই স্বপ্ন (হত্যার পরিকল্পনা) দেখুন, তা পাকিস্তানে সম্ভব হলেও এদেশে সম্ভব হবে না।’
জামায়াতের নামে এদেশে আর রাজনীতি হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। জাতীয় সংসদে এটা করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। অচিরেই এ আইন পাস হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, অনৈক্য ও বিভাজনের কারণে আমরা জাতির জনককে হারিয়েছি।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সাইদুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মমতাজ রহমান, ঢাকা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আব্দুল মান্নান, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু, বারের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়ুবুর রহমান প্রমুখ।