মেহেরপুরে ৩৭ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ
আকতারুজ্জাামান, মেহেরপুর : ভ্যাট ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের খতিয়ানে ব্যারেল চিমনীর ইটভাটার কোন অস্তিত্ব না থাকলেও প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবেশ বিধ্বংসী ইটভাটায় পুড়ছে হাজার হাজার টন কাঠ। শুধু ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো নয়, আবাদী জমিতে অবৈধভাবে ইট কাটার জন্য কাটা হচ্ছে কৃষি জমির টপসোয়েল। যার কারণে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন প্রথম দিকে লোক দেখানো মাত্র দু একটি অভিযান চালিয়ে দুইটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিলেও আবারো পরের দিন পুনরায় শুরু করেছে ওই দুটি ইটভাটা।
তবে ভ্যাট অফিসের মতে জেলায় কোন অবৈধ টিনের চিমনীর ইটভাটার অস্তিত্ব নেই। মেহেরপুর জেলায় গড়ে ওঠা এসব অবৈধ ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও ভ্যাট অফিস দুষছেন একে অপরকে। এদিকে টিনের চিমনীর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু হোসেন জানান, আমরা প্রশাসানের সাথে মিটমাট করেই ইটভাটা চালাচ্ছি। ভ্যাট ও এক্সসাইজের কর্মকর্তাদের ফান্ডে ভাটা প্রতি দেড় লাখ টাকা, জেলা প্রশাসকের এলআর ফান্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। তবে তিনি এসব ভাটা অবৈধ এটা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা ভাটা প্রতি তিন লাখ ৯৬ হাজার টাকা করে ভ্যাট অফিসে দিয়ে ভাটা পরিচালনা করে আসছি। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকি ভ্যাট অফিসে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের তহবিলেও টাকা দিয়ে থাকি।
টিনের চিমনী যুক্ত এক ইটভাটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রশাসনের সাথে চুক্তিতে না আসার কারনে আমার ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া আমার চিমনী ফেলে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আবারো কিভাবে ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পরে সব ঠিকঠাক করেই ভাটা চালাচ্ছি। মেহেরপুর জেলায় এ বছর ৩৭টি ইটভাটা রয়েছে বলে জানান টিনের চিমনী যুক্ত ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম। তিনি জানান, সব ভাটাতে কাঠ পোড়ানো নিশিদ্ধ হলেও সবাই কাঠ পোড়াচ্ছে। অথচ আমাদের মত গরীব ভাটাগুলোর উপর অভিযান চালানো হয়ে থাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সম্পাদনা : তারেক