গাইবান্ধায় বন্যায় তিগ্রস্ত ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেই, জনগণের দুর্ভোগ
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় গত বন্যায় তিগ্রস্ত ব্রিজ-কালভার্টের স্থানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় যানবাহন পারাপারের েেত্র সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বেচাকেনায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের।
গত বন্যায় সিংড়িয়ার রতনপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানির প্রচন্ড চাপে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পাকা রাস্ত া তিগ্রস্ত এবং ৬টি ব্রিজ ধসে পড়ায় উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ফুলছড়ি উপজেলা সদর থেকে গুণভরি রাস্ত ায় পূর্ব ছালুয়া ব্রিজ, উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিংড়িয়া রাস্ত ায় পশ্চিম ছালুয়া বেইলি ব্রিজ, ওই রাস্ত ার হঠাৎপাড়া এলাকায় দুটি আরসিসি ব্রিজ, গুণভরি থেকে বাদিয়াখালী রাস্তায় হাজিরহাট ব্রিজ, কালিরবাজার থেকে মাছেরভিটা রাস্তায় দণি বুড়াইল ব্রিজ ধসে পড়ে। ফলে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্যার পর এলজিইডির প থেকে পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত প্রকল্পের আওতায় ধসে যাওয়া ৫টি ব্রিজের স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে অস্থায়ী ভিত্তিতে লোক এবং বাইসাইকেল- মটর সাইকেলসহ অন্যান্য হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাঁশের সাঁকোগুলো ইতিমধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে পথচারিদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার উপর দিয়ে এখন চলাচল করতে হচ্ছে। এব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী একেএম আখতারুল আহসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে জরুরী ভিত্তিতে তিগ্রস্ত ব্রিজের স্থানে সাময়িকভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। স্থায়ীভাবে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপরে কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রস্ত াবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্রিজগুলো পুনঃ নির্মাণ করা হবে। সম্পাদনা : তারেক