পর্যবেক্ষণে মান্না, প্রকৃত চিকিৎসা শুরু হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে দুই রাত ধরে চিকিৎসাধীন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রকৃত চিকিৎসা শুরু হয়নি।
নাগরিক ঐক্য ও বিএসএমএমইউ সূত্র বলছে, এখন মান্নাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে, গুরুত্ব বুঝে বহু ধরনের শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত মান্নাকে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই মূল চিকিৎসা দেয়া হবে।
বুধবার দুপুরে তিনি ভর্তি হন বিএসএমএমইউর ফিজিক্যাল ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. একেএম ছালেকের অধীনে। সহযোগী অধ্যাপক ডা. একেএম ছালেকের মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় মান্নাকে। এরপর তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সেনা উস্কানির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। গত রোববার জামিনে মুক্তি লাভ করেন তিনি।
ফিজিক্যাল ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের একজন চিকিৎসক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আসলে মান্নার ঘাড়-কোমর, মেরুদ-সহ দেহের বিভিন্নস্থানে ব্যথ্যা আছে। মুখে খাওয়ার ওষুধ দেয়ার পাশাপাশি থেরাপি দেয়া হবে তাকে।
হাসপাতালে মান্নার স্ত্রী মেহেরনিগার ছাড়াও দলীয় অতি ঘনিষ্ঠ কর্মী আছেন মান্নার পাশে। এছাড়া দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার কাছে যাতায়াত করছেন বলে জানা যায়।
মান্না কারাবন্দি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে আনা হয়েছিল।
এসব ব্যথ্যাজনিত সমস্যা ছাড়াও গত রোববার কারামুক্ত মান্না হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত। কারাবাসের সময় তিনি নতুন করে কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হন বলে দাবি নাগরিক ঐক্যের। তবে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হবার আগ থেকেই কিডনি ছাড়া অন্য শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন।
কারাবন্দি থাকাবস্থায় তাকে দফায় দফায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারডেম হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম