আবীর রায়হান : ডাকাতির দায়ে দন্ডিত এক ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছিল ৯৮ বছরের সাজা। কিন্তু কারাগারের ভুলে মাত্র ১০ বছর জেল খাটার পরই মুক্তি পান তিনি। কিন্তু ভুল বের হবার পর কর্তৃপক্ষ তাঁকে আবারও জেলে পাঠালে তা তিনি মেনে নিতে পারেন নি। এবার তাঁর দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আইনী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তার উকিল। দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট
কলোরাডোর অরোরার বাসিন্দা রেনে লিমা-মার্টিন ১৯৯৮-তে ২ টি ভিডিওর দোকানে ডাকাতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ১৯ বছরের রেনেকে বিচারক সর্বমোট ৯৮ বছরের সাজা দেন। সাজার মেয়াদগুলো ছিল পরপর। কিন্তু কারাগার কর্তৃপক্ষ ভেবেছিলেন এই ৯৮ বছরের সাজাগুলো এক সাথে ভোগ করবেন রেনে। ফলে মাত্র ১০ বছর পরই বাইরে আসেন তিনি। পরের ৫ বছর প্যারোলে ছিলেন তিনি।
২০১৪-এর জানুয়ারীতে এই ভুল প্রকাশ পেলে পুনরায় আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং রেনেকে আবারো জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু এবার তাঁর পরিবার আদালতে লড়াই শুরু করে। সম্প্রতি তাঁর আইনজীবি জেমি হ্যালস্কট জানান, তাঁদের দাবি হ্যাবিয়াস কর্পাস’’ রিট দাখিল করার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। তিনি যুক্তি দেখান, কারাগার কর্তৃপক্ষই ভুল করে রেনেকে মুক্তি দেয়, ফলে রেনের বর্তমান কারাবাস অবৈধ। ১ম বার মুক্তির পর ২০০৮-এ বিয়ে করেন রেনে। নিজের ২ সন্তানের তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই বলে দাবি করেন রেনে। বলেন, তাঁর আগের আইনজীবি তাঁকে দন্ডাদেশ মাত্র ১৬ বছর – এমন ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী জেসমিন বলেন, রেনে সেই আগের মানুষ নেই। নিজেকে সংশোধন করেছেন তিনি। আর ডাকাতির দায়ে ৯৮ বছরের জেল গুরুদন্ড। খুনীরাও এত সাজা পান না। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, রেনে জানতেন তিনি সময়ের আগেই ছাড়া পাচ্ছেন।সম্পাদনা : ্ইমরুল শাহেদ