আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছর ইউরোপে যেতে চাওয়া পাঁচ হাজার শরণাথী বা অভিবাসন প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছেন। আর এটি এখনো পর্যন্ত যে কোনো বার্ষিক হিসাবে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিবিসি বলছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার ইতালি উপকূলে রাবারের দুটি নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী ১০০ জনকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান এবং কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কারণে শরণার্থী বা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডুবে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বিডিনিউজ
জাতিসংঘ বলছে, শরণার্থীরা যেন নিরাপত্তা পায় সে ব্যাপারে একটি আইনি পথ খুঁজে বের করা উচিৎ ইউরোপের। মুখপাত্র উইলিয়াম স্পেনডেলা বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকা ‘ভয়ঙ্কর’। পাশাপাশি পাচারকারীরা একই সময়ে হাজার হাজার শরণার্থীকে পাঠানোর যে চর্চা রয়েছে, তার কারণে, উদ্ধারকারীদের পক্ষে সবাইকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
চলতি বছর মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থী বা অভিবাসন প্রত্যাশী সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। এদের বেশিরভাগই ইতালি ও গ্রিসে ঢুকেছেন বলে আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয় সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে। চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণকারীদের পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন ডুবে মারা যাচ্ছেন।
২০১৫ সালে ৩,৮০০ জন শরণার্থী বা অভিবাসন প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ