ঐতিহাসিক ঢাকা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তি সদরঘাটের জনসন রোডে ঢাকা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ অবস্থিত। ঢাকায় অবস্থিত সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাপ্টিস্ট চার্চটি ১৫০ বছরেরও বেশি পুরানো। ১৮১৬ সালে ২২ জন সদস্য নিয়ে চার্চের যাত্রা শুরু হয়।
শ্রীরামপুরের বি.এম.এস মিশন থেকে ঢাকায় মিশনারি প্রেরন করা হয়। তখন সেখানে কর্মরত ছিলেন খ্যাতনামা মিশনারি ড. উইলিয়াম কেরী ও তার দুই সহকর্মী উইলিয়াম ওয়ার্ড এবং যোশুয়া মার্সম্যান। তারা ঢাকায় ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা স্কুল পরিচালনা করতেন। তখন এখানে পাস্টর ছিলেন রেভারেন্ট ওয়েন লিওনার্ড।
প্রথম দিকে মিশনারিরা ঢাকার ছোট কাটরা, মায়া কাটরা, চকবাজার ও আহসান মঞ্জিলের আশপাশে বসবাস করতেন। তারা স্থানীয় খ্রিস্টানদের নিয়ে আরাধনা করতেন। স্থানীয় খ্রিস্টানদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল ইউরোপীয়ান। তারাই প্রথম ব্যাপ্টিস্ট মতবাদের অনুসারি হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পুরানো ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তারা ঈশ্বরের আরাধনা করলেও ১৮৮৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সদরঘাটের ১নং লিয়াকত এভিনিউ তে প্রথম চার্চ বিল্ডিং তৈরী হয়। মূল চার্চ বিল্ডিংয়ের ভগ্নদশার কারনে ১৯৯৫ সালে সংস্কার করে বর্তমান চার্চ বিল্ডিংটি তৈরী করা হয়। তখন একই সাথে রিজেন্ট পার্ক হল ও মিশন হাউস ভেঙ্গে ফেলা হয়।
বর্তমানে চার্চের প্রায় ২৭০ জন সদস্য রয়েছে। প্রায় ৩.৫ বিঘা মিশন কম্পাউন্ডের ভিতরেই ঐতিহ্যবাহি বি.বি.সি.এস হোস্টেল, পুরোহিতের থাকার ব্যবস্থা ও স্টাফদের বাস ভবন রয়েছে।
চার্চটির প্রথম পাস্টর রেভারেন্ট ওয়েন লিওনার্ড ও তার পরিবারের সদস্যদের এর সমাধি ওয়ারি র্যাকিং র্স্টিটের কবরস্থানে এখনো দেখতে পাওয়া যায়।