আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক কর্মসূচি বিস্তৃত করা নিয়ে টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ সময়ে বিশ্বের অন্যতম প-িতজন নোয়াম চমস্কি। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এমন টুইট সবচেয়ে ভীতিকর বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা ও তা বিস্তৃত করা নিয়ে সম্প্রতি ট্রাম্প টুইট করেছেন। এ বিষয়ে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ম্যাচাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রফেসর এমিরিটাস নোয়াম চমস্কি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার হাতে রয়েছে বিশ্বের মোট পারমাণবিক শক্তি শতকরা ৯৩ ভাগ।
এ নিয়ে নোয়াম চমস্কি হাফিংটন পোস্টকে বলেছেন, ট্রাম্পের মতো পুতিনও অনেকটা ভয়ঙ্কর। তবে আশ্বস্ত হওয়ার কথা হলো, এসব পারমাণবিক অস্ত্র বা কর্মসূচি এখন পর্যন্ত আত্মরক্ষামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও তার পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। পুতিন বলেছেন, আমাদেরও কৌশলগত পারমাণবিক শক্তি বাড়াতে হবে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক খাতকে শক্তিশালী করতে হবে যাতে বিদ্যমান যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দেয়া যায়, প্রত্যাশিত পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। পুতিন আরও বলেছেন, ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন ও বিশ্বে রাজনৈতিক-সামরিক পরিস্থিতির দিকে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে সতর্ক থাকতে হবে রাশিয়া সীমান্তের দিকে। আমাদের দেশের প্রতি কোনো হুমকি আসার সঙ্গে সঙ্গে তা নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নোয়াম চমস্কি বলেছেন, বিশ্ব নেতাদের এমন বক্তব্য, বিবৃতিতে এটমিক সায়েন্টিস্টদের বুলেটিন ‘ডুমসডে ক্ল’-এ পরিবর্তন আসতে পারে। ডুমসডে ক্লক হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি প্রতীক। এটা দিয়ে নির্ধারণ করা হয় আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কত দ্রুত মানবতাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সতর্কতা আধুনিকায়ন করা হতে পারে ২০১৭ সালে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা প্রফেসর নোয়াম চমস্কি। পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা শুধু নোয়াম চমস্কি একাই করেন না, একই রকম কথা বলেছেন অন্য অনেক নেতা। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানেরও পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকার থাকা উচিত। তিনি পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক একজন উপদেষ্টাকে একবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র যদি ব্যবহার না-ই করা হয় তাহলে তা থেকে লাভ কি। পরে অবশ্য ট্রাম্প এ কথা অস্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে ৪৬০০ পারমাণবিক অস্ত্র। যদি রাশিয়া থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় তাহলে হোয়াইট হাউসকে আঘাত করতে তার সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে লাগবে মাত্র ১২ মিনিট সময়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ