আবদুল্লাহ তারেক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ সুশীল প্রেসিডেন্ট হিসেবে খ্যাত দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেখানো পথেই তিনি হাঁটছেন। তবে, এ পথে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ট্রাম্প পেয়ে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে দুই নেতার পরস্পরা বিবৃতি যেন এই ইস্যুতে একে অপরকে এক টেবিলে বসারই আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের উচিত এখনই রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি যুক্তিসঙ্গত সমাধানে আসা।
‘জাস্ট ফরেন পলিসি’র পলিসি ডিরেক্টর রবার্ট নেইম্যান বলেন, ‘এটা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ জানে ট্রাম্প আগেও এমন অনেক কঠোর ঘোষণা দিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ট্রাম্প নয় এর আগেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এমন কঠোর ঘোষণা দিয়ে পরবর্তী সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভের সাথে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক ডিয়ানা জনস্টোন বলেন, ‘সম্প্রতি পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র শক্তি বৃদ্ধির জবাবে ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা মূলত চলতি বছর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেয়া ১.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকায়নের কর্মসূচি। প্রকৃতপক্ষে নতুন পরমাণুু অস্ত্রবাজি শুরু হয়ে গিয়েছে যা মূলত নোবেল বিজয়ী সুশীল প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাই শুরু করেছেন কিন্তু কেউ তা লক্ষ্যই করেনি।’
অতিভাষী ট্রাম্পের পরমাণুু শক্তি বৃদ্ধির যে ঘোষণা তা আশ্চর্যের কিছু নয় বলেও মনে করেন জনস্টোন।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সীন স্পাইসার বলেন, ‘যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাদের জবাব দিতে ট্রাম্প যে দুর্বল অবস্থানে নেই এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।’
স্পুটনিক। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি