এস এম নূর মোহাম্মদ: সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী বলেছেন, বিচারকদের সাহস থাকতে হবে। সাহস থাকলেই বিচার বিভাগে আসবেন। যাদের সাহস নেই তারা বিচার বিভাগে আসবেন না। যারা আছেন, সাহস না থাকলে আপনারা ছেড়ে চলে যান। সাহস দেখান। আপনারা ন্যায় বিচার করবেন। আইন অন্ধ হতে পারে, আপনারা বিচারকরা অন্ধ নন। সবকিছু জানার এবং দেখার এখতিয়ার আপনার আছে। আদেশ দেওয়ার সময় সবকিছু দেখে দিবেন।
গতকাল বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে যখনই পুলিশ মামলা নিয়ে আসে, বলে রিমান্ডে দেওয়ার জন্য। আমরা বিচারকরা যারা আছি, সেখানে তারা ডান-বাম কিছুই না দেখে পুলিশের কথায় রিমান্ড দিয়ে দিই। কেন। আমরা কি পুলিশকে বলতে পারি না, ডায়রি নিয়ে আস। কি কারণে রিমান্ড চাও বলো। আর রিমান্ডতো এখন ভালবাসার জন্য নয়। থার্ড ডিগ্রি মেথড অ্যাপ্লাই করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। আসামির কাছ থেকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা রিমান্ডের উদ্দেশ্য। তাই পুলিশের কথায় হুট করেই রিমান্ড দিবেন না। এটা স্বৈর শাসকের সময় হয়েছিল। কারণ তখন কথা না শুনলে বদলি করে দেওয়া হতো।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে বলবো নি¤œ আদালতের বিচারকদের এটি দেখার জন্য। তাদের প্রটেকশন দিতে হবে। যাতে করে ভয়ে কেউ আদেশ না দেয়। কেউ যেন মনে না করে ক্ষমতাসীন দল বা কোনো গোষ্ঠী বা কোনো রাজনৈতিক দল বা পুলিশ তার বিরুদ্ধে নারাজ হয়ে যায়। তা না হলে বিচার কাজ বিঘিœœত হবে। সুপ্রিম কোর্ট তাদের প্রটেকশন দিতে পারলে এদেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা চালু হবে এবং থাকবে।
মাহমুদুল আমীন বলেন, কোনো আসামিকে জামিন দিলে পত্রিকায় খবর আসলে সেটা উচ্চ আদালতে স্থগিত হয়ে যায়। সেটা কেন। জামিন পাওয়া তার অধিকার। জামিন দিয়ে থাকলে কোর্টের এখতিয়ার ছিল কি না সেটা দেখতে হবে। কোর্টের এখতিয়ার থাকলে জামিন দিতে পারে। কিন্তু স্থগিত করারতো কোনো বিধান নেই। আমরা স্থগিত করে দেই। কয়েক মাস পরে ওই আপিল আদালত বলে জামিন দেওয়াটা ঠিক ছিল। তাহলে কয়েকমাস ভোগান্তির জন্য কে দায়ি থাকবে। আপনারা এটা খেয়াল রাখবেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ৩০ লাখ মামলা আছে। বর্তমানে যে জনবল আছে তা দিয়ে এ মামলা নিষ্পন্ন করা দুরুহ ব্যাপার। আর এ জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করেই জুডিশিয়ারি প্রকল্প নিয়েছি। সম্পাদনা : দেলওয়ার হোসাইন