ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার করে সচ্ছল ঝিনাইদহের আল আমিন
রোকনুজ্জামান মিলন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়েছে আল আমিন নামের এক যুবক। কৃষি কাজের পাশাপাশি সে অবসর সময়ে ৪৭০টি হাস পালন করে প্রতিদিন ১ হাজার ৫শ টাকা আয় করছে। ডিম বিক্রি করে কিনেছে মটরসাইকেল, বর্গা নিয়েছে জমি। নিজে যেমন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে তেমন এলাকার মানুষের পুষ্টি, আমিষের চাহিদা পুরনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে সে। আল আমিন মহেশপুর উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের আদম বারীর ছেলে।
আল আমিন জানান, পড়াশোনা বেশি দুর করতে না পারায় দত্তনগর গোকুলনগর কৃষি ফার্মে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কৃষি কাজ করে সে। কৃষি কাজ শেষে করে তার অনেক সময় বেচে থাকে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ভাবে ভ্রাম্যমান হাঁসের খামার তৈরি করবে। চুয়াডাঙ্গার জেলা থেকে ৩৪টাকা দরে ৫০০টি ক্যাম্বেল জাতের হাসের বাচ্চা ক্রয় করে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে। এর পর হাসেঁর বাচ্চাগুলো লালন পালন শুরু করে সে। হাসগুলো মধ্যে ৩০টি মারা যায় ও হারিয়ে যায়। হাসগুলোকে আলাদা করে বেশি খেতে দিতে হয় না। বাড়ির পাশে এশিয়ার বৃহত্তম কৃষিফার্ম রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময় ধান,গমসহ অন্যান্য ফসল কাটার পর জমিতে ফসল পড়ে থাকে। এছাড়াও ফার্মের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট একটি খাল। দিনের কাজ শেষে প্রতিদিন বিকালে হাসগুলো নিয়ে মাঠে চলে যায় সে। এর পর মাঠ থেকে হাসগুলো খাইয়ে নিয়ে আবার বাড়িতে আনা হয়। আল আমিন আরো জানান, হাস পালন করতে তার এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে হাস ক্রয়, হাসের ঘর তৈরি,খাবার,ওষুধসহ প্রায় ১ লাখ টাকা। হাসগুলো গত ৪ মাস ধরে ডিম দিচ্ছে। ইতিমধ্যে সে প্রায় ১লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো হাসের ডিম বিক্রি করেছে। সে জানায় এলাকায় হাসের ডিমের প্রচুর চাহিদা। এখন প্রতিদিন গড়ে ১৩০টি ডিম সংগ্রহ করে। একটি ডিম বিক্রি করে সাড়ে ৯ টাকা দরে। সকলেই বাড়ি থেকে ডিমগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তার এখন ৪৭০টি হাস রয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য প্রতিটি ৩০০ টাকা দরে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। তার সবগুলো হাস একজন ব্যবসায়ী ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাম দিয়েছে। সম্পাদনা : তারেক