নিউজিল্যান্ড অ্যাটাকে বাংলাদেশের চার পেসার
এল আর বাদল : এক সময় জয়ের জন্য বাংলাদেশ নির্ভর করতো স্পিনারদের ওপর। কিন্তু হঠাৎ এক পেসার যুবকের ঝলকানিতে টিম ম্যানেজমেন্ট প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে পেসারদের উপর নির্ভরতা বাড়ালো। এক কথায়, সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ এখন নির্ভর করছে পেসারদের উপর। আজ নিউজিল্যান্ড অ্যাটাকে বাংলাদেশ নামাচ্ছে চার পেসারকে। গত বিশ্বকাপে নিয়মিত তিন পেসার খেলিয়ে চমকে দিয়েছিলেন কোচ চ-িকা হাথুরুসিংহে। সেই সাফল্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বেও খেলেছে বাংলাদেশ। তারপর ধারাবাহিক ভাবে দেশের মাটিতে সফল। একের পর এক সিরিজ জয়। আবার যখন নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে লড়াই তখনো কি তিন পেসারের ফর্মুলা টাইগার দলে। নিউজিল্যান্ড থেকে বিসিবির বরাতে জানা গেছে, মুস্তাফিজের খেলার মতো অবস্থা থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আক্রমণে চার পেসার নামিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ।
এ কথা সত্যি, মুস্তাফিজের আবির্ভাবে টাইগার ক্রিকেটের দৃশ্যপট অনেক পাল্টেছে। মাশরাফির সামনে থেকে বল হাতে নেতৃত্ব দেওয়া, তাসকিনের উঠে আসা, রুবেলের পারফরম্যান্স আর মুস্তাফিজের জাদু, সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন চার পেসার খেলাতেও দ্বিধা করে না। গত দুবছরে অনেক সাফল্যই এসেছে পেস নির্ভর টাইগার শিবিরের। নিউজিল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশনে পেসারদের দাপটের ইতিহাস পুরনো। বাংলাদেশকে তাই চার পেসার খেলানোর কথাও ভাবতে হচ্ছে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য সিদ্ধান্তের জন্য ম্যাচের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার পক্ষপাতী। এদিকে ক্রিকেটের ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানিয়েছে, গতকাল রোববার মাঠে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি তার আত্মবিশ্বাস নিয়ে অনেক কথা বললেন। কিন্তু নিশ্চিত করতে পারলেন না চার পেসার খেলানোর বিষয়টি। কারণটা মুস্তাফিজই।
চার পেসারের আলোচনাটা তুঙ্গে। প্রসঙ্গটা আসতেই মাশরাফি জানালেন, চার পেসার খেলানো নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় চার পেসার খেলানো হয়েছে। তখন যে উইকেট পেয়েছি, এখন তো তেমন উইকেট পাবো না। বিশ্বকাপে সব সময় বেটার উইকেটে খেলা হয়ে থাকে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোম দল ইচ্ছে ও সুবিধা মতো উইকেট বানিয়ে থাকে। মাশরাফি স্পষ্টই সেদিকে ইঙ্গিত করলেন। উইকেট নিয়ে অন্য সকলের মত টাইগার অধিনায়কেরও কৌতূহলের সীমা নেই। তিনি বলেন, রোজ এসে উইকেটের চেহারা ভিন্ন ভিন্ন দেখছি। কিউই কন্ডিশনে উইকেট নিয়েই বেশি চিন্তা করতে হয় সফরকারী দলগুলোকে। তাই টসটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে হ্যাগলিতে নামার আগে সেটাকে বড় করে দেখছেন না মাশরাফি। এই মাঠে আগের খেলাগুলোতে ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগে একটা ব্যালান্স থেকেছে। কোনো বিভাগ খুব বেশি করে পার্থক্য গড়ে দেয়নি জানিয়ে, কিছুটা হলেও ব্যাটিং সহায়ক পিচের আশাই করলেন মাশরাফি। সব মিলিয়ে অনুমান করা খুব কঠিন হলেও হাই স্কোরিং ম্যাচের আশাই করছেন মাশরাফি। ব্যাটিং পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে অধিনায়ক বলেছেন, যতটুকু জেনেছি বুঝছি এখানে ব্যাটিং উইকেট হবে। ২৮০-৩০০ স্কোর হওয়ার সম্ভাবনা আছে।