আবু লাহাব কেন পারলেন না কুরআনকে মিথ্যা প্রমাণ করতে!
হুমায়ুন আইয়ুব: পবিত্র কুরআনের সুরা ‘লাহাব’ মক্কায় নাজিল হয়েছে। সুরার আলোচ্য বিষয়-নবীজির (সা.) চাচা আবু লাহাব। আবু লাহাবের ভবিষ্যৎ জীবন। সুরা লাহাবে বলা হয়েছে, ১.আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে ২. কোনো কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে ৩. সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে ৪. এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে ৫. তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে । এই সুরা ইসলামের সততার প্রতিধ্বনি। আবু লাহাবের জন্য নবীজি মুহাম্মদকে প্যাঁচে ফেলানোর উপযুক্ত সময়ও বটে। ইসলামকে মিথ্যা প্রমাণের এই তো সুযোগ আবু লাহাবের। যদি হাসি ঠাট্টা করেও আবু লাহাব ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কালেমা পাঠ করে মুসলিম হয়ে যেত, তাহলেই প্রমাণ হয়ে যেত- মুহাম্মাদ (সা.) আসলে কোনো নবী নন। কুরআনও সঠিক নয়। আল্লাহর কথাও নয় কুরআন। ভুল হতো কুরআনের আগামবার্তা। তবে কি জয়ী হলো ইসলাম না আবু লাহাব? কুফুরের অন্ধকারে নিমজ্জিত আবু লাহাবের মন আলোকিত হয়নি কুরআনের আলোয়। ফলে সুরার প্রতিটি কথায় সততার আলো ছড়িয়েছে। সুরা নাজিলের পরেও আবু লাহাব সাত-আট বছর বেঁচে ছিলেন। আবু লাহাব মারা যায় বদর যুদ্ধের পর। সবাই বদর যুদ্ধে গেলেও আবু লাহাব নিজে না গিয়ে তার বদলে অন্য একজনকে পাঠায়। এই সময়ে সে এমন রোগে আক্রান্ত হয় যে, তার সারা শরীরে দুর্গন্ধযুক্ত ঘা হয়ে যায়। এমনকি তার পরিবারের কেউই তার ধারে কাছে ঘেষতো না। বদরে পরাজিত হয়ে সবাই ফিরে দেখে আবু লাহাব মারা গেছে। কিন্তু তার লাশের দুরবস্থা ও দুর্গন্ধের কারণে তাকে দাফন করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি তার ছেলেরাও না। কয়েকদিন পরে গর্ত খুঁড়ে লম্বা বাঁশের লাঠি দিয়ে কোনোমতে তাকে গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়া হয়। ইসলামের বিরোধিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেও কোনো লাভ হলো না আবু লাহাবের। ধ্বংস হয়ে গেল আবু লাহাবের দুই হাত, কোনো কাজে আসলো না তার ধন সম্পদ সন্তান সন্ততি, আর আখেরাতে তো সে থাকবেই জাহান্নামের আগুনের লেলিহান শিখায়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম