বৈধতা দেয়া হচ্ছে গাইড বইকে!
দেলওয়ার হোসাইন: গাইড বইকেই বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে। ফলে সম্প্রতি শিক্ষা আইনের খসড়ায় গাইড বইকে বলা হচ্ছে সহায়ক বই এবং কোচিংকে বলা হচ্ছে ছায়াশিক্ষা। যদিও শিক্ষামন্ত্রী চলতি সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় গাইড বই বা কোচিংয়ের জায়গা হবে না। শিক্ষাবিদরা বলছেন, বাস্তবতা কী? গাইড বা কোচিং বন্ধ করে দিলে অভ্যন্তরীণ ও পাবলিক সব পরীক্ষায় মহাবিপর্যয় ঘটবে। কারণ, সরকারি বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে, অর্ধেকের বেশি শিক্ষক গাইড বই পড়ে ক্লাসে পড়ান। আর প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল।
এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে দেশের প্রবীণ শিক্ষাবিদদের নিয়ে কর্মশালা হয়েছে। সেখানে ১৩টির স্থলে ৯টি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার পরামর্শ এসেছে। পরীক্ষা স্বল্প সময়ে শেষ করা হবে। পরিবর্তন আসবে পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক ও পাঠদানে। অর্থাৎ মাধ্যমিক স্তরের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। মৌলিক এসব পরিবর্তনের জন্য ১৫টি সুপারিশ করেছেন দেশের বরণ্য শিক্ষাবিদরা। গাইড বইয়ের বিস্তৃতি কতদূর পর্যন্ত পৌঁছে তার উদাহরণ টেনে কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের জেএসসির বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন গাইড বই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়। বোর্ড তদন্ত করে প্রমাণ পায় এবং ৫ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে। শুধু কুমিল্লা বোর্ডে এর আগে একাধিক পাবলিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার প্রশ্ন হুবহু গাইড থেকে উঠিয়ে দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। এই যখন অবস্থা তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবতার নিরিখে গাইড ও কোচিংকে বৈধতা দেয়ার কথা ভাবছে। কারণ, বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে না।