রোহিঙ্গাদের ফেরত দিতে বিজিবি ও বিজিপির আলোচনা চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: মিয়ানমারে নির্যাতিত ও আতঙ্কিত মুসলমানদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব রোহিঙ্গারা নৌপথে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই জন্য ইতোমধ্যে যারা আশ্রয় নিয়ে এর বাইরে নতুন করে যাতে মিয়ানমার থেকে মুসলমানরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেই জন্য বিজিবি মিয়ামারের বিজিপির সঙ্গে আলোচনা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমার থেকে যেসব নির্যাতিত মুসলমানরা এসেছে এবং যেসব মুসলমানরা নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদেরকে এখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরপর মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদেরকে নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেই তাদেরকে ফেরত পাঠাবো। এই জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য আলোচনার জন্য আমরা কাজ ফেলে রাখতে পারব না। আমাদের যা যা করণীয় আমরা করছি। কবে নাগাদ ফেরত পাঠানো হবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো দিনক্ষণ বলতে পারছি না। কারণ তাদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন আছে। তারা প্রবেশ করার সময় বিপদে পড়ে এসেছে। এখন চাইলেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মানবিকতার ব্যাপার আছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা করতে হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করেই দিনক্ষণ ঠিক করবে। সেই অনুযায়ী আমরা তাদেরকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছি এমন নয়। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে আমাদের বিজিবির সদস্যরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলছেন। তারা সমঝোতা ও আলোচনার ভিত্তিতে নতুন করে যারা আসছেন তাদেরকে ফেরত পাঠাচ্ছেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম