কক্সবাজারে সরকারি জমিতে ঘর তুলে রোহিঙ্গাদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : টেকনাফের লেদা এলাকায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের পাশে সরকারি খাস জমিতে তৈরি করা হচ্ছে ঘর। নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে একটি চক্র। চক্রটি বন বিভাগ ও সরকারি খাসজমি দখল করে ঘর তুলে রোহিঙ্গাদের কাছে ভাড়া দিচ্ছে। এসব ঘরপ্রতি অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। মাসে ভাড়া ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের লেদায় রোহিঙ্গাদের অনিবন্ধিত শিবিরের পাশে চলছে এই দখল ও ঘর তুলে বাণিজ্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসব ঘর তুলছেন। উখিয়ার কুতুপালং পাহাড়ের জায়গা দখল করে শতাধিক ঝুপড়িঘর (বাঁশ, কাঠ, মাটি ও পলিথিন দিয়ে তৈরি) নির্মাণ করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ঘরপ্রতি অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ভাড়া ৩০০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, ৫০-৬০ জন রোহিঙ্গা নারী ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঝুপড়িঘরগুলোতে বাস করছেন। ঘর ভাড়া নেওয়া রোহিঙ্গা নারী ছেনুয়ারা বেগম (৪৫) বলেন, পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকার কোনো জায়গা না থাকায় এই ঘরে উঠতে হয়েছে। কানের একটি সোনার দুল বিক্রি করে অগ্রিম হিসেবে ৪ হাজার টাকা দিয়েছেন সৈয়দ আহমদের স্ত্রীর হাতে। জানতে ঐ ব্যক্তি বলেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতেই তিনি সরকারি বনভূমিতে ঘর তৈরি করেছেন। ঘর ভাড়ার জামানত না নিলে রোহিঙ্গারা অন্যত্র পালিয়ে যাবে, ছড়িয়ে পড়বে। লাকা ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুতুপালংয়ে সরকারি ও বন বিভাগের জমি দখল করে এমন বেশ কয়েকটি বস্তি তৈরি করেছেন স্থানীয় অন্তত ২৫ জন। এসব ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছে নতুন করে আসা প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা যত বাড়ছে, সাথে বাড়ছে ঘরও। এদিকে রাখাইন রাজ্যের কাউয়ারবিল গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন ও তার ভাই সৈয়দ হোসেন কুতুপালং এসেছেন কয়েক দিন আগে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান