আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যে ডায়েরির পাতা খুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী, সেই ‘সাহারা ডায়েরি’কে উড়িয়ে দিলেন শীলা দীক্ষিত। জানালেন, ‘এগুলো সব জনশ্রুতি। এতে সত্যের ছিঁটেফোঁটাও নেই। আমি পুরোপুরি এই অভিযোগ খারিজ করছি।’ ঘটনা হল, সেই ডায়েরিতেই ঘুষ নেওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলার। আজকাল
এমিনতেই কমনওয়েলথ দুর্নীতিতে নাম রয়েছে শীলার। এই অবস্থায় সাহারার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ হলে বিপাকে পড়বেন, তাই আগেভাগেই সাহারা ডায়েরিকে খারিজ করে দিলেন তিনি। আর তা করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন শীলা দীক্ষিত। আয়কর আধিকারিকদের বাজেয়াপ্ত করা সাহারা কোম্পানির ডায়েরির একটি পাতা তুলে ধরে ২১ ডিসেম্বর রাহুল অভিযোগ করেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময সাহারা এবং বিড়লা কোম্পানির থেকে ৪২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন মোদি। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গতকাল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শিলার এই সাহারা ডায়েরি খারিজ করার পর তাই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাহুল মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। ৭৮ বছরের শীলা আরও বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট এই অভিযোগ নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে। বিজেপি বলেছে, সুপ্রিম কোর্টও এই অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পায়নি। শীলার বক্তব্য সামনে আসার পরই উজ্জীবিত বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, কংগ্রেসের অবশ্যই এই নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। আর কংগ্রেস নেতা টম বেদাক্কন বলেছেন, ‘আমরা সাহারা বিড়লা ডায়েরি নিয়ে তদন্ত চেয়েছি। শীলা দীক্ষিত বিপরীত কিছু বলেননি। এই নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ