আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজের জীবন নিয়ে আতঙ্কে আফগানিস্তান বিমানবাহিনীর প্রথম নারী পাইলট ক্যাপ্টেন নিলুফার রাহমানি। তাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। ২০১৫ সালে সাহসিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ এওয়ার্ড’ দেয়। তাকে ওই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা বলেছিলেন, নিলুফার হলেন অন্য যুবা নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফ্লাইট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। তার এ পথ অন্য নারীদের উদ্বুদ্ধ করবে। ওই সময় ও তার আগে-পরে নিলুফারকে নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম করা হয়। তিনি পিতামাতার বাধা উপেক্ষা করে টেক্সাসে প্রশিক্ষণের জন্য যোগ দিয়েছিলেন। সেই প্রশিক্ষণ তিনি সম্পন্ন করেন ২০১৩ সালে। এরপরই তাকে নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হয়। প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় ও তার আগে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো কিছুকে তোয়াক্কা করেননি তিনি। সাহসিকতার এক অনন্য নজির দেখিয়ে তিনি হয়েছেন আফগানিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রথম নারী পাইলট। কিন্তু এখন তিনি বলছেন, দেশে পরিস্থিতি আরও খারাপ। তিনি প্রচ- হতাশার মধ্যে আছেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া ছাড়া তার সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তিনি বলেছেন, আমার দেশের জন্য বিমানবাহিনীতে কাজ করাকে আমি ভালবাসি। সব সময় আমি এটা করতেও চেয়েছি। কিন্তু এখন আমি জীবন নিয়ে আতঙ্কিত। তিনি বলেছেন, যদি তার আশ্রয়ের আবেদন মেনে নেওয়া হয় তাহলে তিনি বিমান চালানো অব্যাহত রাখতে চান। সেটা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনীর হয়ে না হয় কোনো বাণিজ্যিক পাইলট হয়ে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ