জাফর আহমদ ও হামিদুর রহমান: কড়া পুলিশি পাহারায় আশুলিয়ার বন্ধ ৫৯ গার্মেন্ট কারখানা খুলেছে। তবে সকল শ্রমিক কাজে যোগ দেয়নি। শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে ছাঁটাই করার কারণে ৫৮৪ শ্রমিক কারখানায় আসেনি এবং কিছু শ্রমিক গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কারণে কারখানায় আসেনি। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে (মেশিন বিন্যাস) ছোট্ট করে প্রথম দিনে কাজ চালিয়েছে আশুলিয়ার গার্মেন্টস কারখানা। তবে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৫৮৪ শ্রমিকের ছবি সম্বলিত নাম গেটে ঝুলিয়ে দেওয়ার কারণে এ সব শ্রমিক কালখানা গেটে এসে ফিরে গেছে। শ্রমিক সূত্রগুলো দেওয়া কারখানাগুলো হলো উইন্ডি এপারেল, হা-মীম এপারেল, বিকে গ্রুপ, স্টারলিং গ্রুপ, বান্দু গার্মেন্ট, দি রোজ গার্মেন্টস কারখানা, এনভয় গার্মেন্ট ইত্যাদি। এ সব শ্রমিকের বড় একটি অংশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আশুলিয়ার কারখানা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ছাঁটাই হয়েছে এবং মামলা হয়েছে-এ রকম খবরে কিছু শ্রমিক কারখানায় আসেনি। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বড় একটি সংখ্যার শ্রমিক বাড়িতে চলে গেছে। এ সব শ্রমিক অনুপস্থিত রয়েছে। এ কারণে গার্মেন্ট সেলায়ের ‘লে আউট’ সঠিকভাবে করতে পারছে না। কোনো কোনো কারখানা প্রয়োজন মত শ্রমিক না পাওয়ার কারণে লে-আউট ছোট্ট করে এনেছে। এ সব কারণে বন্ধের পর প্রথম দিন হিসাবে কাজ চালিয়ে নিতে বেগ পাচ্ছে কারখানা উৎপাদন সুপারভাইজাররা। কারখানার বাইরে পুলিশের কড়া প্রহরার কারণে কোনো মিটিং-মিছিলের ঘটনা ঘটেনি। কারখানা গেটে পুলিশ ও টহল পুলিশের উপস্থিতিতে এ সব কারখানা চলছে। ফলে পুলিশের চোখ এড়িয়েও কোথাও কোনো একের অধিক একত্রে দাঁড়ানোর সাহস পাইনি। তবে অধিকাংশ সাধারণ শ্রমিক কাজে যোগদান করতে ইচ্ছুক এবং তারা কোনো মিটিং মিছিলে আগ্রহী না থাকার কারণে পুলিশের কড়াকড়ির মধ্যেই স্বত্ব:স্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছে। প্রসঙ্গত. বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আশুলিয়ার জামগড়ার ৫৯টি কারখানার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৫দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন