এম রবিউল্লাহ: পপ সঙ্গীত তারকা জর্জ মাইকেল আর নেই। ব্রিটেনে অক্সফোর্ডসিরির বাড়িতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভক্তকূল। স্থানীয় সময় রোববার জর্জের প্রচারক এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আপনার প্রিয় ভাই, সন্তান ও বন্ধু জর্জ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ক্রিসমাসের উৎসবের সময় তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করে সম্মান প্রদর্শন করার কথা বলা হয়েছে। শোকার্ত পরিবারের এই অসময়ের আবেগর বিষয়টি গোপন রাখার কথা বলা হয়েছে। এর বেশি আর কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
১৯৬৩ সালের ২৫ জুন লন্ডনের ইস্ট ফিন্সলিতে জন্মগ্রহণ করেন পপ তারকা জর্জ মাইকেল। তিনি বেড়ে উঠেন লন্ডনের কিংসবুরিতে। ‘হোয়াম’ খ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পী ১৯৮১ সালে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান। তার ব্যান্ড দল হোয়াম’র প্রথম অ্যালবাম ‘ফেন্টাস্টিক’। এই অ্যালবামের জনপ্রিয়তার পর ১৯৮৩ সালে তাদের ধারাবাহিক অ্যালবাম ‘ইয়াংগানস’ ‘হোয়াম র্যাপ’ ও ‘ক্লাব ট্রপিকানা’ অ্যালবামগুলোও হিট হতে থাকে। তার দল হোয়ামের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘মেইক ইট বিগ’। এই অ্যালবামের গানগুলোর জনপ্রিয়তা ব্রিটেন ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও দারুণ সারা ফেলে দেয়।
১৯৮৭ সালে মাইকেল দলের বাইরে একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একক অ্যালবামেও তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ফেইথ’। এই অ্যালবামের ‘আই ওয়ান্ট টু ইউর সেক্স’ জনপ্রিয়তার তালিকার শীর্ষে থাকে। তবে গানে যৌন উত্তেজক কথার কারণে কিছু রেডিও স্টেশনে তার এই গানটি চালানো নিষিদ্ধ করা হয়। তার ‘আই ওয়ান্ট টু ইউর সেক্স’ গানটি ‘বিভারলি হিলস কপ-২’ নামের সিনেমায় ব্যবহৃত হয়। একক অ্যালবাম ‘ফেইথ’ মাইকেলের সঙ্গীত ক্যারিয়ারে নতুনমাত্রা এনে দেয়। ১৯৮৮ সালে মাইকেল সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য বিশ্বভ্রমণে বের হন। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে পারফর্ম করেছিলেন। ওই কনসার্টটি ছিল বছরের সবচেয়ে বিপুল দর্শক উপস্থিতির কনসার্ট।
একই বছর মাইকেল তার ‘ফেইথ’ অ্যালবামের জন্য জার্মানির সম্মানিত একটি পদকে ভূষিত হন। এর পরের বছর তিনি ব্রিটেনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ভিডিও পুরষ্কার ‘এমটিভি ভিডিও এওয়ার্ড’ পান। মিশেলের ৬টির বেশি অ্যালবাম প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি হয়। সূত্র:সিএনএন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম