শেয়ার বাজারে উল্লম্ফন কারণ খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক
জাফর আহমদ: শেয়ার চাঙ্গা হওয়ায় কারণ খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাম্প্রতিক সময়ে লেনদেন হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এক মাস আগে পর্যন্ত মার্কেটের লেনদেন ৬০০ কোটি টাকার সীমার মধ্যে ছিল। এক বছরের ব্যবধানে কি উন্নতি হয়েছে, যে কারণে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে!
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেয়ার বাজারে নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপ করার অধিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা না করার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের অধিক শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। তবে গত কয়েক বছর আগে যখন শেয়ার বাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় তখন ব্যাংকগুলোর শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক ইচ্ছোমত বিনিয়োগ করতো। পরবর্তীতে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের সীমা রেখে লাগাম টেনে ধরে।
তথ্য অনুযায়ী গতকাল শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০৮০ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার এ পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। গত ১৯ ডিসেম্বর লেনদেন হয়েছিল ১১২০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাস জুড়ে কোনো দিনই ৮০০ কোটি টাকার নিচে নামেনি। নভেম্বর মাসে সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল ৩৪০ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে ৩০০ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কোটি সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ৩২৫০ কোটি টাকা। সে সময় সর্বোচ্চ পয়েন্ট ৮৯১৮।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে লেনদেনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের করণীয় নেই। তবে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ২৫ শতাংশ উপরে বিনিয়োগ করছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছে। সম্পাদনা: কিরণ সেখ