‘এক পরাজয়ে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি’
এল আর বাদল: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৭ রানে হার, ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে অনেক বড় পরাজয় মনে হলেও টাইগার দলপতি মাশরাফি এই পরাজয়ে মোটেও বিচলিত নন। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে খুব স্বাভাবিক থেকেই কথা বলেছেন। দেশি বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত মাশরাফি বললেন, পরাজয়তো একটি দলকে মেনে নিতেই হবে। এক পরাজয়ে সবকিছুতো শেষ হয়ে যায়নি। সামনে আরো দুটি ম্যাচ আছে, আমাদের চেষ্টা থাকবে ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে সতীর্থদের বিবর্ণ থাকার কথা বললনে ওয়ানডে অধিনায়ক। এক কথায় হারের জন্য তিনি বাজে ফিল্ডিং-বোলিং আর ছোট-ছোট সব ভুলকেই দায়ী করলেন।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছি বলে আকাশ ভেঙে মাথায় পড়েনি, তবে কষ্ট লাগছে হারের ধরণটা মনে করে। ম্যাচে ক্যাচ ফেলেছে মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর মত নির্ভরযোগ্য হাত। পেসাররা শর্ট বল করে প্রতিপক্ষকে ব্যাট চালানোর সুযোগ গড়ে দিয়েছেন। সেসব টেনে মাশরাফি বললেন, আমাদের ফিল্ডিং ছিল এলোমেলো। ওদের অনেককে দুই-তিন আটকে দিতে পারতাম। ওখানে কিছু রান হাতছাড়া হয়েছে। বোলিংয়ে অনেক শর্ট বল করেছি। বোলিং-ফিল্ডিং ভালো হলে আমরা হয়তো ৩০-৪০টা রান আটকাতে পারতাম। সেক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ে আমাদের সুযোগ থাকত। বাড়তি কটা রানই পরে আমাদের ভুগিয়েছে।
বাংলাদেশ শুরুতে বোলিংই করতে চেয়েছিল। টসে হারায় সেই সুযোগও মেলে। বোলাররাও শুরুতে লাগাম টানতে চেষ্টা করছিলেন। টাইগারদের শর্ট ও লেংথ বলে এরপরই হাত খুলতে থাকেন টম ল্যাথাম-কলিন মুনরোরা। বেশি শর্ট বল করা নিয়ে তাই কথা বলতে হলো অধিনায়ককে। মাশরাফি বোলিংয়ের এই জায়গাটা মেনে নিয়েই বললেন, শর্ট বল একটু বেশিই করে ফেলেছি আমরা। এমন কন্ডিশনে শর্ট বল কার্যকরীও। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মত কার্যকরভাবে সেটা আমরা করতে পারিনি। ওদের শর্ট বলগুলো যেখানে আমাদের মাথা বরাবর ছিল, আমাদেরগুলো সেখানে ওদের বুক বরাবর। ফলে খুব সহজেই ওরা যেগুলো রানে রূপান্তর করেছে। সম্পাদনা: এনামুল হক