কাল জেলা পরিষদ নির্বাচন ২২ চেয়ারম্যান, ১৩৯ সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: কাল ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। ৬৪ জেলার মধ্যে তিনটি পার্বত্য জেলায় প্রশাসক থাকায় ও তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়ার সেখানে নির্বাচন হবে না। দেশে এই প্রথমবারের মতো এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬১ জেলার নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে কমিশনের। এরমধ্যে ২২ জেলায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন। ফলে ওই সব এলাকায় এখন অনুষ্ঠিত হবে সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট। এ কারণে ওই সব জেলায় নির্বাচনের তেমন আমেজ নেই। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় সাধারণ সদস্য পদে ১৩৯ জন আর সংরক্ষিত আসনে ৫৩ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নতুন আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট দিবেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এরমধ্যে স্ব স্ব জেলার (যে জেলাগুলোতে সিটি কর্পোরেশন রয়েছে) সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, পৌরসভার (যে জেলাগুলোতে পৌরসভা রয়েছে) মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এ কারণে ভোটারদেরকে নিজের দিকে টানার চেষ্টা সব প্রার্থীদের রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১২৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী ২৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ৮০৫ জন। প্রার্থীরা এতদিন তাদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। কিছু কিছু জেলায় সংসদ সদস্যরা নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেছেন। তারা প্রভাব খাটিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রচারণায় অংশ নিতে যাতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে।
মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। পুরুষ ভোটার ৪৮,৩৪৩ জন আর নারী ভোটার ১৪,৮০০ জন।
নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, যে সব জেলায় নির্বাচন হবে ওই সব জেলায় ১৫টি করে ভোট কেন্দ্র থাকবে। ওই সব কেন্দ্রে একটানা সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। প্রার্থীরা যাতে নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে তাদের পোলিং এজেন্টদেরকে পাঠাতে পারেন। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন সে জন্য আমরা কমিশন থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচনি এলাকার ও নির্বাচন কেন্দ্রের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করণীয় সবই করা হয়েছে। এখন বাকিটা নির্ভর করবে ভোটার, প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীদের উপর। তারা যদি কোনো এলাকায় পরিস্থিতির অবনতি না ঘটায় তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। মানুষ নারায়ণগঞ্জে দেখেছে কেমন করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়। ঠিক ওই ভাবে আমরা নির্বাচন করব। কোনো ধরনের পরিস্থিতির অবনতি হতে দেওয়া হবে না। আমাদের হাতে বেশি সময় নেই। এই সময়ের মধ্যে আমরা বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করব। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম