বিপ্লব বিশ্বাস: রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারের উপরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা চলছে। এমনকি মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে উঠতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে তিনটি সিঁড়ি!
এসব সিঁড়ি দিয়ে মানুষ ফ্লাইওভারে উঠে দ্রুতগতির চলন্ত বাস থামাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি যানজট বেড়ে ফ্লাইওভারের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ফ্লাইওভারের মুখেই দাঁড়িয়ে আছে বাস। যাত্রী উঠছেন-নামছেন। এটি মহাখালী ফ্লাইওভার। এই ফ্লাইওভারের চেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে বাংলামটর ও যাত্রাবাড়ি গুলিস্থানের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। তারা ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য বিভিন্ন স্থানে ৩টি লোহার সিঁড়ি তৈরী করেছেন! ফ্লাইওভারের উপরেই গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাস স্টপেজ। যার মুখে এসে জটলা করছে বাস।
বাস পেতে দ্রুত গতির ফ্লাইওভারের ওপরে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ রাস্তা পার হচ্ছেন। উড়াল পথে হঠাৎ বাস থামায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুন। এসব কারণে শুধু ফ্লাইওভারে নামা বা ওঠার পথেই নয় পুরো ফ্লাইওভারেজুড়েই দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইওভারে সিঁড়ি তৈরি একটি নজিরবিহীন স্বেচ্ছাচারিতা। অবশ্য পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হকের মতে, সিঁড়ি যদি করতেই হয় তাহলে ফ্লাইওভারের উপরে অবশ্যই বাস বে থাকতে হবে। যদিও সেটি করা হয়নি হানিফ ফ্লাইওভারে। তবে ফ্লাইওভারটির দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এসব বিষয়ে মুখ খোলেনি। টোল আদায়ের উদ্দেশ্যে বাসগুলোকে ফ্লাইওভারে উঠতে উৎসাহিত করা হচ্ছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক বছরে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে কিন্তু সেই হারে কি যানজট কমেছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারকীরদের মানসিকতা আর কর্তৃপক্ষের দুর্বল নজরদারি থাকলে ফ্লাইওভারগুলো যানজট নিরসনে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারবে না। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম