৫ জানুয়ারি বিএনপির কালো পতাকা মিছিল৭ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ
কিরণ সেখ: গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আগামী ৫ জানুয়ারি সারাদেশে জেলা ও মহানগরে কালো পতাকা মিছিল এবং কালোব্যাজ ধারণ করবে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একই উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে দলটি। গতকাল বুধবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী জানান, ৭ জানুয়ারি রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছি।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট ছাড়া একতরফা জেলা পরিষদ নির্বাচন সংবিধান, আইন বিরোধী ও বেআইনী। কারণ এই নির্বাচনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। সংবিধানে আছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু এটা হচ্ছে পরোক্ষ ভোটে। সুতরাং এ নির্বাচন হচ্ছে বেআইনি।
রিজভী বলেন, আরও একটি একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ অবৈধ, অসাংবিধানিক ও বেআইনি এ নির্বাচন জনগণের সাথে প্রহসন ছাড়া কিছুই না। কারণ সংবিধানে পরিষ্কার বলা হয়েছে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে। এ প্রক্রিয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অবৈধ বলে এ ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট মামলা বহাল থাকলেও জনবিছিন্ন সরকার গায়ের জোরে আয়ুব খান মডেলে এক তরফা এ নির্বাচনটি আজ সম্পূর্ণ করতে যাচ্ছে।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও পাকিস্তানের বিরোধী বললেও তারা আসলে পাকিস্তানের মডেলেই দেশ চালাচ্ছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সে গণতন্ত্রকে তারা আজ হত্যা করেছে। এখন আওয়ামী লীগ হাঁটছে আইউব খান মডেলে। জেলা পরিষদ নির্বাচনও তারই একটি নমুনা। ৬০ এর দশকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান এ মডেলে নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। তখন এই পদ্ধতির নামকরণ করা হয়েছিল বেসিক গণতন্ত্র বা মৌলিক গণতন্ত্র।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের হার ও বীভৎসতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও নারী ও শিশু ধর্ষিতা হচ্ছেন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এমনকি ধর্ষণ বা গণধর্ষণের পর তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এর মূল কারণ, বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হাতে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী